শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৮, ০১:৪৩:২৭

অবশেষে ‘রগ কাটা’ ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মোর্শেদা

অবশেষে ‘রগ কাটা’ ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মোর্শেদা

ঢাকা : ছাত্রলীগ নেত্রী ইফফাত জাহান ইশার যে কথা শোনা গিয়েছিল অবশেষে ‘রগ কাটা’র ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন মোর্শেদা খানম। তিনি বলেন, সে দিন আমার রগ কাটেনি। রগ কাটার কোনও ঘটনাও ঘটেনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মোর্শেদা গণমাধ্যমের কাছে এসব কথা বলেন। ১০ এপ্রিল সেই রাতের ঘটনার পর মগবাজার এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন মোর্শেদা। বর্তমানে তিনি ক্যান্টনমেন্টের মানিকদী এলাকায় মামার বাসায় অবস্থান করছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হলে থাকা ছাত্রী মোর্শেদা বলেন, জানালার কাঁচে লাথি মারতে গিয়ে আমার পা কেটে গিয়েছিল। কিন্তু কেউ কেউ এটাকে রগ কাটা বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়।

এই ছাত্রী আরো বলেন, ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে একটা মেয়ে হঠাৎ খুব জোরে চিৎকার করে ওঠে। উনার (ইফফাত জাহান ইশা) রুমটা আমাদের ওপরে। আমরা স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি চিৎকার। হলের সবাই শুনেছে। চিৎকার শুনে আমরা বের হয়ে আসি ব্যাপারটা কী, তা জানার জন্য।

দেখি এশা আপুর রুমের সামনে হলের মেয়েরা চলে এসেছে। সবাই আপুর রুমের দিকে যাচ্ছে। মেয়েরা আপুর রুমের দরজা ধাক্কাধাক্কি করছে। তারা বাইরে থেকে দরজায় আঘাত করতে থাকে, তার (ইশা) বের হয়ে আসার জন্য।

মোর্শেদা বলেন, তখন তিনি (ইশা) বলেন, আমি কিছু করিনি। এখানে তেলাপোকা। তখন সবাই আবারও দরজায় এবং জানালাতে আঘাত করে। এসময় আমার মাথাটা খারাপ হয়ে যায়। জানালাটা আগেই ভাঙা ছিল। অনেকে লাথি মেরে ভেঙেছে। এক্সিডেন্টালি আমি যখন আঘাত করেছি (জানালায়), তখন আমার পা-টা কীভাবে যেন কেটে যায়। এটা এক্সিডেন্টালি হয়েছে।

ভিডিওতে দেখবেন, সেখানেও আমি বলিনি যে, আমার রগ কেটে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাওয়ার কারণে কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রলীগ সভাপতি এশা একছাত্রীর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে, রাতেই এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে মধ্যরাতেই আবারও রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হয় ইশাকে। পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু রগ কাটার খবরটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় এবং এশাকে জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছনা করায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করেন। ঘটনার দুদিনের মাথায় নিজেদের তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রলীগ।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও নিজেদের তদন্তের ভিত্তিতে এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে। পরবর্তীতে যে ছাত্রীর পায়ের রগ কাটার গুজব উঠেছিল, সেই মোর্শেদাসহ ২৪ জনকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা কমিটির একসভায় এশাকে হেনস্তার অভিযোগে ২৬ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে