মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৬, ০২:৩৯:০১

মেয়ের বিয়ে, পাত্রের কেমন খোঁজ দিচ্ছেন তদন্তকারী এই গোয়েন্দারা?

মেয়ের বিয়ে, পাত্রের কেমন খোঁজ দিচ্ছেন তদন্তকারী এই গোয়েন্দারা?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: বিয়ের আগে দুপক্ষের লুকিয়ে চুরিয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার প্রথা দীর্ঘদিনের। বিশেষত সম্বন্ধ করে বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর সম্পর্কে জানার জন্য দুই পরিবারই বেশ কাঠ কয়লা পোড়াতেন। কিন্তু সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে প্রাইভেট ডিটেকটিভ সংস্থাগুলিও এখন দায়িত্ব নিয়ে এই তদন্ত করছে। আর উত্তর ভারতে নাকি রমরমিয়ে চলছে এই ব্যবসা।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্বন্ধ করে বিয়ের জন্য এখন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটেই ভরসা রাখছেন বিবাহযোগ্য যুবক-যুবতীরা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই সাইটগুলির মাধ্যমে গোপন তথ্য পাওয়া অসম্ভব ফলে পুরনো পদ্ধতিতেই অগোচরে অনুসন্ধান চালাতে হবে।

তবে, একুশ শতকে দাঁড়িয়ে পুরনো আমলের মত পাড়া প্রতিবেশী কিংবা অফিস থেকে খোঁজ নেওয়ার সময় কম পড়ছে তাই এই তদন্তের ভার অনেকেই তুলে দিচ্ছেন প্রাইভেট ডিটেকটিভ সংস্থাগুলির হাতে৷ আর সেই সুযোগেই ৩৫,০০০ -৪০,০০০ টাকা দাবি করছেনএই সংস্থাগুলি। বিয়ে বলে কথা তাই সারাজীবনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে টাকার জন্য পিছিয়ে যাচ্ছেন না কেউ।

জয়পুরের এমনই এক সংস্থার মালিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি কেস তদন্ত করে তাঁরা জানতে পারেন সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য জানিয়েছেন পাত্র। শুধু তাই নয়, তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায় সেই পাত্র এর আগে বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়েছে। তাঁদের তদন্তের উপর ভিত্তি করেই ওই ছেলের সঙ্গে বিয়ে বাতিল করেন পাত্রী।

অমিত নামের আরেক গোয়েন্দা সংস্থার মালিকও এমনই আরেকটি ঘটনার বর্ণনা দিলেন৷ সেখানেও ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে পাত্রীর সঙ্গে আলাপ হয় এক যুবকের। একে অপরকে মনে ধরায় অভিভাবকদেরও রাজি করিয়ে ফেলেন বিয়েতে।

কিন্তু পাত্রীর বাবার সন্দেহ থাকায় তিনি অমিতের সংস্থার দ্বারস্থ হন৷ তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, ওই হবু পাত্র আগেই বিবাহিত৷ এই তথ্য তিনি সম্পূর্ণ লুকিয়ে রেখেছেন পাত্রীর থেকে। ঘটনা সামনে আসায় বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় পাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে।

দুই সংস্থার মালিকই বলছেন শুধু অভিভাবক নন বিয়েতে রাজি হওয়ার আগে পাত্র-পাত্রী নিজেরাই এখন দায়িত্ব নিয়ে ছুটে আসছেন ডিটেকটিভ সংস্থাগুলির কাছে। এবং তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে জানাচ্ছেন, এই ট্রেন্ডে নাকি অনেকটাই এগিয়ে মহিলারা।

কিন্তু কেন এই ট্রেন্ড অনুসরণ করছেন মহিলারা?

এই ব্যক্তিগত গোয়েন্দারা মনে করছেন এখন পাত্রীরা সকলেই উচ্চ শিক্ষিত৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আজকাল নামজাদা কোম্পানিতে কর্মরত তাঁরা। ফলে তাঁদের আয়ের উপর নজর থাকে বহু যুবকের, এমনটাই অনুমান তাঁদের।

কখনও সেই আয়তেই থাবা বসানোয় ইচ্ছুক অনেকে প্রেমের প্রতারণা করে বিয়ের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে থাকে৷ কিন্তু এই ফাঁদে পা দিতে নারাজ তাঁরা। তাই নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে গোয়েন্দা লাগিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। একবার ভাবুন ব্যোমকেশ বা ফেলুদাও যদি এমন দায়িত্ব নিতেন!-সংবাদ প্রতিদিন

২৫ অক্টোবর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে