এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : পেশায় সরকারি অফিসের পিওন। আর তিনিই নাকি কয়েক কোটি সম্পত্তির মালিক! হ্যাঁ অবিশ্বাস্য হলেও সত্য৷ খাতায় কলমে ওই পিওনের সম্পত্তির পরিমাণ নাকি প্রায় ২কোটি! কিন্তু সুদে আসলে তা ছাড়িয়েছে, কয়েক কোটি টাকারও বেশি৷ তার সম্পত্তির বিবরণ শুনলে ভিরমি খেতে পারেন আপনিও৷ তার সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে তিনটি ফ্ল্যাট, একটা অফিস, তিনটি জমি এবং দুটি গাড়ি৷
ভারতের গুজরাতের অ্যান্টি-কোরাপশন ব্যুরোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গত শনিবার এবং শুক্রবার এই ধরনের মোট পাঁচটি ঘটনা এখনও প্রকাশ্যে এসেছে৷ গান্ধীনগর, রাজকোট, সবরকাথাতে মোট ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে এই সংস্থাটি৷
ওই পিওনের এই তিনটি জমি গুজরাতের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে৷ গান্ধীনগরে আছে গ্রিন পার্ক এবং অম্বিকা অ্যাপার্টমেন্ট নামের দুটি ফ্ল্যাট এবং পেঠাপুরে আছে রিধি সিধি অ্যাপার্টমেন্ট৷ অপরদিকে ঢোলাকুয়াতে রাধে স্কোয়ার অ্যাপার্টমেন্ট৷ এছাড়া তিনটি জমি আছে ছিলোদা এবং ইসানপুরে৷
বিশেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, তার স্ত্রী গান্ধীনগর জেলা পঞ্চায়েত কর্মী৷ হাসমুখ রাওয়াল নামক ওই ব্যক্তির যা রোজগার, তার তুলনায় মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০২.৩৩ শতাংশ। আর বাকি প্রায় ১৩কোটি টাকার সোনার গয়নাও রয়েছে। এরকমই আরেকটি ঘটনার কথাও প্রকাশ্যে এসেছে। নাম ভরতগিরি গোস্বামী৷ যার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১২কোটি৷ আলমপুর, কোভা, আলমপুর এবং পেঠাপুরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই সব সম্পত্তি৷
ACB এর সবরকাথা টিম শুক্রবার প্রকাশচন্দ্র প্যাটেল নামে এক ব্যক্তির বিরূদ্ধেও একটি অভিযোগ দায়ের করে৷ যার সম্পত্তির পরিমাণ তার মোট আয়ের থেকে ১৬৭ শতাংশ বেশি বলে জানা গিয়েছে৷ ACB এর তরফ থেকে গোপন তদন্ত করে এই সমস্ত তথ্যগুলি প্রকাশ্যে এনেছে৷ চন্দ্রিকা ভাদের নামে এক মহিলা রাজকোট কলেজের প্রিন্সিপালও এই ঘটনায় অভিযুক্ত৷ তিনি ২০১৬ তে দুর্নীতির জালে জড়িয়ে গিয়েছিলেন৷
২২ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস