রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০২:৩৫:৪০

ট্রাম্পের সাথে কথার যুদ্ধ লেগে থাকা কিমের বিলাসি জীবন-যাপন

ট্রাম্পের সাথে কথার যুদ্ধ লেগে থাকা কিমের বিলাসি জীবন-যাপন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : নিষেধাজ্ঞা, হুমকি উপেক্ষা করে নতুন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। পাশাপাশি দেশটির নেতা কিম জন উং ঘোষণা দিচ্ছেন, যত বেশি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে তত বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাবে তার দেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কথার যুদ্ধ লেগেই আছে তার। গণমাধ্যমে সেই খবরই প্রকাশ হয় বেশি। তার ব্যক্তিগত জীবনের খবর তেমন প্রকাশ্যে আসে না। ব্যক্তিগত জীবনে আরাম-আয়েশ-বিলাসিতার কোনো কমতি নেই কিমের। রাজকীয় প্রাসাদ থেকে শুরু করে দ্বীপ, হোটেল কী নেই তার।

অপূর্ব প্রাসাদ

উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং-এ এই বিশাল প্রাসাদ রয়েছে কিমের। কুমসুসান প্রাসাদটি কিম ইল সুং এর সময়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্বে আর কোনো কমিউনিস্ট নেতার এমন বিশাল প্রাসাদ নেই।

হোটেল

রিউগইয়ং বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেলগুলোর একটি। পিরামিড আকারের ১০৫তলা এ হোটেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। সেই সময় দেশে কিম ইল সুং এর শাসন ছিল। কিম ইল সুং ছিলেন কিম জং উনের দাদা। এখনও হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।

আকাশে শাসন

উত্তর কোরিয়ার কাছে বিভিন্ন ধরণের এক হাজারটি বিমান আছে, যেগুলোর বেশিরভাগ সোভিয়েত ইউনিয়ন অথবা চীনে তৈরি। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধে ব্যবহার করা যায় এমন হেলিকপ্টার, যুদ্ধ বিমান, পরিবহন বিমান এবং ড্রোন। কিম জং উনের কাছে এএএম এবং ট্রিপল এ সিস্টেমের মতো কিছু বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও আছে।

স্কি রিসোর্ট

কিম জং উনের নির্দেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,৩৬০ মিটার উঁচুতে মাসিকরিয়ং নামে এক জায়গায় একই নামে একটি স্কি রিসোর্ট বানানো হয়েছে। এই স্থানটি উত্তর কোরিয়ার সেনাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলার। পর্যটকদের জন্য এখানে ১২০ কক্ষ বিশিষ্ট হোটেল রয়েছে।

মোবাইল নেটওয়ার্ক

শোনা যায়, উত্তর কোরিয়ায় কেবল কিম জং উন এবং তার কাছের মানুষদের ব্যবহারের জন্য একটি বিশেষ মোবাইল নেটওয়ার্ক রয়েছে। কোরীয় লিংক নেটওয়ার্কের প্রযুক্তি পরিচালক আহমাদ আল নোয়ামিনি জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ এই মোবাইল পরিষেবার সুবিধা ভোগ করতে পারে না।

ব্যক্তিগত দ্বীপ

দেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি গোপন দ্বীপ রয়েছে। কিম জং উনের অতিথি হয়ে উত্তর কোরিয়া গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো এক তারকা। এই দ্বীপে রাখা হয়েছিল তাকে। শোনা যায়, এখানে আনন্দ বিনোদনের সবধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। কিম জং উনের ব্যক্তিগত হেলিকপ্টার অবতরণের জায়গাও রয়েছে সেখানে।

গলফ কোর্স

কিম জং উনের উত্তর কোরিয়ায় অসাধারণ কিছু গলফ ক্লাব রয়েছে। সরকারি কর্মচারীরা গলফ ক্লাবগুলোকে সবসময় ঝকঝকে করে রাখে। গলফ ছাড়া উত্তর কোরিয়ায় ফুটবল, বাস্কেটবল, আইস হকি আর কুস্তি জনপ্রিয় খেলা।

সেনা ঘাঁটি

উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে অনেক যুদ্ধ জাহাজ, টহল নৌকা এবং বড় বড় সামরিক জাহাজ রয়েছে। নিজেদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করা উত্তর কোরিয়ার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক শক্তিশালী দেশের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছে দেশটি।

বিলাসবহুল গাড়ি

শোনা যায়, ২০১৪ সালে কিম জং উন ১ দশমিক ৬ কোটি মার্কিন ডলার দিয়ে গাড়ি কিনেছিলেন। এর মধ্যে মার্সিডিজ বেনৎস, লিমোজিন আর আছে লাক্সারি স্পোর্টস কার।

পিয়ানো ভীষণ পছন্দ

শোনা যায়, কিম জং উনের কাছে ২০টিরও বেশি পিয়ানো আছে। এমন গুজবও রয়েছে যে, তিনি প্রতিদিনই পিয়ানো বাজান আর যদি সুরের কোনো গণ্ডগোল হয় সেটাকে তিনি পিয়ানোর দোষ হিসেবে মনে করেন, নিজের নয়।

সাবমেরিন

কিম জং উনের কাছে সোভিয়েত আমলের কিছু পুরানো সাবমেরিন রয়েছে। এছাড়া দেশটির কাছে আরো বেশ কয়েকটি চীনের সাবমেরিন রয়েছে। আর কিছু সাবমেরিন উত্তর কোরিয়ার সেনারা নিজেরাই তৈরি করেছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে