মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ০২:২৫:৪৮

টিফিন বিরতিতে ব্যবসা চালিয়েই কোটিপতি এই স্কুলছাত্র

টিফিন বিরতিতে ব্যবসা চালিয়েই কোটিপতি এই স্কুলছাত্র

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ হাইস্কুলের আর পাঁচটা ছাত্রছাত্রী যখন লাঞ্চ ব্রেকে ফুটবল বা বাস্কেট বল খেলতে ব্যস্ত থাকে, তখন নিজের মোবাইলে খুটখুট করে ব্যবসা চালায় অক্ষয় রূপারেলিয়া। গ্রাহকদের সঙ্গে তখন চলে তার দরকষাকষি। এভাবেই অনলাইনে বাড়ি বিক্রি করে এখন ব্রিটেনের কনিষ্ঠতম কোটিপতিদের অন্যতম ১৯ বছরের এই ভারতীয় বংশোদ্ভূত কিশোর।

খুব অল্প বয়স থেকেই নিজের অনলাইন এস্টেট এজেন্সির ব্যবসা চালাচ্ছে অক্ষয়। স্কুলে ক্লাস চলাকালীন সে গ্রাহকদের ফোন ধরতে পারে না। এ জন্য একটি কল সেন্টারকে সে ভাড়া করে রেখেছে। ওই সময় যাবতীয় কল রিসিভ করার জন্য। কোন কোন গ্রাহকদের ফোন এসেছিল তা জেনে নিয়ে ক্লাসের শেষে তাদের ফোন করে নেয় অক্ষয়। এভাবেই সে সামলায় একের পর এক বিজনেস ডিল।

ব্যবসা শুরুর কয়েক মাসের মধ্যে অক্ষয়ের কোম্পানি "www.doorsteps.co.uk"-র শেয়ার কিনতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা। বছরখানেকের মধ্যেই তার কোম্পানির মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২ মিলিয়ন পাউন্ড। অর্থাত্‍‌ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০৩ কোটি টাকা। আর এই ক’দিনে সে প্রায় ৮৫০ কোটি টাকার বাড়ি বিক্রি করে ফেলেছে।

এ বার প্রথাগত হাই স্ট্রিট এজেন্টদের বাজার ধরার পরিকল্পনা করেছে অক্ষয়। এজেন্টরা যে কাজের জন্য হাজার হাজার পাউন্ড চার্জ করে, সেই কাজই অক্ষয় মাত্র ৯৯ পাউন্ডে করিয়ে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার ভাবনা ও কাজের পদ্ধতি এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে তার কোম্পানি লাইভ হওয়ার মাত্র ১৬ মাসের মধ্যেই সেটি এখন ব্রিটেনের সবচেয়ে বড় এস্টেট এজেন্সিগুলোর মধ্যে ১৮ নম্বরে চলে এসেছে।

আত্মীয়ের থেকে ৭০০০ পাউন্ড ধার নিয়ে একদিন ব্যবসা শুরু করেছিল অক্ষয়। এখন তার কোম্পানিতে কাজ করে ১২ জন। বিনিয়োগকারীরা আরও ৫ লাখ পাউন্ড সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় কোম্পানির আকার দ্বিগুণ করবে বলে ঠিক করেছে অক্ষয়।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক ও অর্থনীতি নিয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছে অক্ষয় কিন্তু ব্যবসার স্বার্থে আপাতত সেই অফার নিচ্ছে না সে।

ব্রিটেনে বসবাসরত স্বনির্ভর মায়েদের মূলত চাকরি দেয় অক্ষয়, তারা খদ্দেরকে জমি বাড়ি ঘুরিয়ে দেখায়। তার কথায়, ‘মানুষ মায়েদের বিশ্বাস করে।’

অক্ষয়ের বাবা-মা দুজনেই কানে শোনেন না। বাবা কৌশিক শারীরিকভাবে অসমর্থদের দেখাশোনার কাজ করেন। মা রেণুকা পড়ান শুনতে অক্ষম ছেলেমেয়েদের স্কুলে।-ডেইলি মিরর
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে