এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: নারকীয় বললেও কম বলা হয়! ভাম বিড়াল শিকার করে সেটি কেটে মহোৎসব করল দুই যুবক। বিড়ালটি কেটে মাংস রান্না করে দিব্যি খেয়ে ফেলল। শুধু তাতেই থেমে থাকেনি। বিকৃত রুচির এই কীর্তি ফলাও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও দেয় দুই কীর্তিমান। আর তাতেই কাল হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া সেই ছবি নজরে আসে বনকর্তাদের। অভিযুক্ত দুই যুবককে চিহ্নিত করেন তাঁরা। মঙ্গলবার তাদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। আরেকজন পলাতক।
বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণীটি শিকার করে খাওয়ার অপরাধে অভিযুক্ত দুই যুবক। তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের ৯ এবং ৫১ ধারায় মামলা রুজু করেছে বনদপ্তর। অভিযুক্তদের নাম প্রণয় বাউল ও বিশ্বজিৎ বিশ্বাস।
পলতার জাফরপুর এলাকার বাসিন্দা এই দুই যুবক কলেজ ছাত্র বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বন দপ্তরের দাবি, সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বজিৎ একটি পোস্ট করে। তাতে দেখা যায়, একটি বন বিড়াল মেরে সেটিকে কেটে রান্না করা হচ্ছে। বিশ্বজিৎ ও তার বন্ধু প্রণয় দু’জনেই খুব আনন্দের সঙ্গে সেটিকে কেটে রান্না করছে। পোস্টে লেখা ছিল, ‘ভাম বিড়ালটাকে আজ ডিনারে খেলাম।’
উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য বনপাল মানিক সরকার জানান, ‘ছবিটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে টিটাগড় থানা ও সিআইডি-কে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বজিৎ ও প্রণয়ের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়। মঙ্গলবার সকালে প্রণয়কে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে বিশ্বজিৎ পালিয়ে গিয়েছে। ভাম বিড়াল বিপন্ন প্রজাতির ‘শিডিউল টু’ শ্রেণির প্রাণী। এটি আটকে রাখা অথবা শিকার করা আইনত দণ্ডনীয়।’
বনদপ্তর সূত্রে খবর, জেরায় ভাম বিড়াল খাওয়ার কথা স্বীকার করেছে প্রণয়। তবে সেটিকে শিকার করার কথা অস্বীকার করেছে সে। সূত্রের খবর জেরায় প্রণয় বলেছে, ভাম বিড়ালটি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল। তারপর সেটিকে তারা কেটে খেয়েছে।যদিও এই তথ্য মানতে নারাজ বন দপ্তর।
মানিকবাবু জানিয়েছেন, বিশ্বজিতের দেওয়া ছবিগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে ভাম বিড়ালটির গায়ে দু্র্ঘটনার কোনও চিহ্ন মেলেনি। তাই সেটিকে খুন করা হয়েছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার ধৃত প্রণয়কে বারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে। পুলিশ বিশ্বজিতের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি