এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : বাড়ি ভর্তি আত্মীয়দের ভিড়। বাইরে সানাইয়ের আওয়াজ। বাড়ির বারান্দায় সবেমাত্র নিমন্ত্রিত অতিথিদের খেতে দেওয়া হয়েছে। আচমকাই উচ্ছ্বাসের আবহের তাল কাটলো। ঘরের ভিতর থেকে শোনা গেল বুক ফাটা কান্নার আওয়াজ। ততক্ষণে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন বর।
বিয়ের পোশাক তখন তার পরনে। কিন্তু কেন এমন পরিণতি? ভারতের বিহারের গয়ার এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মর্মান্তিক কাহিনী। যাতে ফের নগ্ন বিপন্ন সমাজব্যবস্থার চেহারাটাকেও। আত্মঘাতী কিশোরের নাম মহাদেব দাস। নবম শ্রেণির ছাত্র মহাদেব গয়ার ভিনোবানগর গ্রামের বাসিন্দা।
সোমবার সকালে নিজের বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানতে পারে, মহাদেবকে জোর করে তার থেকে দশ বছরের বড় বিধবা ভাবি রুবি দাসের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিল পরিবার। সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি মহাদেব।
প্রথমে প্রতিবাদও করেছিল, কিন্তু পরিবার তার কথায় বিশেষ আমল দেয়নি। বিয়ের পর সেদিনই সন্ধ্যায় নিজের ঘরে গিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় মহাদেব। কিন্তু প্রশ্ন কেন দশ বছরের বড় বিধবা ভাবির সঙ্গে পনেরো বছরের ছেলের বিয়ে দেওয়া হল?
এমটিনিউজ/এসবি