এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: সৌদিতে এগিয়ে চলেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবনের নির্মাণকাজ। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১.৪ বিলিয়ন ডলার। ২.৬ মিলিয়ন বর্গফুট জায়গা থাকবে কমপক্ষে ২৫২ তলা ভবনটিতে। ভবনটিতে হোটেল, অ্যাপার্টমেন্ট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অফিস থাকবে। ২০২০ সালে ভবনটি খুলে দেয়া হবে।
দুবাইয়ের বুর্জ খলিফা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন। ২০১৩ সালে ‘জেদ্দা টাওয়ার’ ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।নির্মিত হলে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবনের খেতাব পাবে ভবনটি। প্রায় এক কিলোমিটার উঁচু হবে ‘জেদ্দা টাওয়ার’ নামে ভবনটি।
বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ ভবন দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার চেয়েও কয়েকশ ফুট উঁচু হবে সৌদির নির্মাধীন এই জেদ্দা টাওয়ার।
চলুন এক নজরে দেখা নেয়া যাক টাওয়ারটির সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য-
জেদ্দা টাওয়ারের উচ্চতা এক কিলোমিটারের বেশি (প্রায় ৩৩০০ ফুট)। ১৭০ তলা বিশিষ্ট ভবনটির প্রাথমিকভাবে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪.৬ বিলিয়ন সৌদি রিয়েল(১.২ বিলিয়ন ডলার)। কিন্তু নির্মাণ কাজে বিলম্ব হওয়া এর খরচ বেড়ে দুই বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে ১.৪ বিলিয়ন ডলার। লোহিত সাগরে পাশেই নির্মাণ করা হচ্ছে সুউচ্চ এই টাওয়ারটি। জেদ্দা টাওয়ারর নির্মাণ সম্পন্ন করতে ইস্পাতের প্রয়োজন হবে ৮০ হাজার টন। ভবনটির নকশা করেছেন বুর্জ আল খলিফার নকশাকারক মার্কিন স্থপতি আদ্রিয়ান স্মিথ।কিংডম হোল্ডিং কোম্পানির চেয়ারম্যান যুবরাজ আল ওয়ালিদ বিন তালাত ও জেদ্দা ইকোনোমিক কোম্পানি যৌথভাবে এই টাওয়ার নির্মাণ করছেন। জেদ্দা টাওয়ারের প্রধান ঠিকাদার কোম্পানি সৌদি বিন লাদেন গ্রুপ। এ ভবনে থাকবে ৫৯টি লিফট ও ১২টি দ্রুতগতির এসকেলটর। তারমধ্যে পাঁচটি এসকেলেটর হবে ডাবল ডেকার।
এদিকে ভবনটি নির্মাণে বিনিয়োগকারী সংস্থা কিংডম হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান সৌদি প্রিন্স আল-ওয়ালেদ বিন তালাত বর্তমানে আটক আছেন। তার পরেও ভবনটির নির্মাণকাজ থেমে নেই। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে চু্ক্তি অনুযায়ী ২০২০ সাল নাগাদ জেদ্দা টাওয়ারের কাজ শেষ হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস