এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : আগে কোনও দিনই তেমন ভাবে তুষারের মধ্যে দিন কাটাননি। কিন্তু, ৪০৩ দিন পর যখন তিনি ফিরলেন, তখন নিজের অজান্তেই তৈরি করে ফেলেছেন একটা রেকর্ড।
তিনি মঙ্গলা মানি। এর আগে ইসরোর আর কোনও মহিলা বিজ্ঞানী এত দিন অ্যান্টার্কটিকায় কাটাননি। পরিবেশগত এক মিশনের জন্য এক বছরের বেশি সময় তিনি কাটালেন অ্যান্টার্কটিকায়। সেখানকার পরিবেশ নিয়ে গবেষণা চালাতেই এই মিশন, জানিয়েছেন মঙ্গলা।
২০১৬ সালের নভেম্বর। ২৩ সদস্যের একটি দল ইসরো থেকে রওনা হয়েছিল অ্যান্টার্কটিকার উদ্দেশে। দলটিতে একমাত্র মহিলা সদস্য ছিলেন ছাপান্ন বছরের মঙ্গলা মানি। গত বছর ডিসেম্বরে অ্যান্টার্কটিকায় গবেষণা মূলক কাজ শেষের পর দেশে ফেরে দলটি।
সম্প্রতি টাইমস আব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মানি জানিয়েছেন কেমন ছিল সেই দিনগুলি। তাঁর কথায়, ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল আমাদের মিশন। আমি একজন মহিলা হওয়ায় চ্যালেঞ্জটা ছিল আরও বেশি। কারণ, মহিলাদের থেকে পুরুষদের শারীরিক সক্ষমতা অনেকটাই বেশি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘সেখানকার পরিবেশ অত্যন্ত শুষ্ক। যখনই আমরা ক্লাইমেট কন্ট্রোল রিসার্চ সেন্টারের বাইরে বের হতাম, তখন খুবই সতর্ক থাকতে হতো।’’
মাইনাস ৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এতগুলো দিন কাটানোর জন্য কী ভাবে নিজেকে তৈরি করেছেন? সেই প্রস্তুতির কথাও নিজের মুখে জানিয়েছেন ওই মহিলা বিজ্ঞানী। মিশনের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর শুরু হয়েছিল শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলে শারীরিক প্রশিক্ষণ।
শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল দুটো ভাগে। অ্যান্টার্কটিকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রথমে উত্তরাখণ্ড এবং পরে বদ্রিনাথে দেওয়া হয়েছিল বিশেষ প্রশিক্ষণ।
মালি জানিয়েছেন, এতগুলো দিন অ্যান্টার্কটিকায় কাটানোর সময় প্যাকেটজাত খাবারই ব্যবহার করেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে মনে রাখা হয়েছে পরিবেশ দূষণের দিকটাও।
চারশো দিনের বেশি অ্যান্টার্কটিকা সফল ভাবে মিশন শেষ করার জন্য সহযাত্রীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন মঙ্গলাদেবী।-আনন্দবাজার
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস