সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১৮, ০৩:৪৪:৫৩

বিচিত্র সব ভবিষ্যদ্বাণী আর পৃথিবী ধ্বংসের তারিখ জানিয়েছিলেন এই অন্ধ মহিলা

বিচিত্র সব ভবিষ্যদ্বাণী আর পৃথিবী ধ্বংসের তারিখ জানিয়েছিলেন এই অন্ধ মহিলা

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক  : নস্ত্রাদামুস একা নন, পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বলেছিলেন আরও একজন। তবে তিনি নস্ত্রাদামুসের মতো দূর অতীতের বাসিন্দা নন। বাবা ভ্যাঙ্গা নামের এই মরমি মহিলা বেঁচে ছিলেন এই সেদিনও।

বুলগেরিয়ার বাসিন্দা বাবা ভ্যাঙ্গার আসল নাম ভ্যাঙ্গেলিয়া প্যানদেভা দিমিত্রোভা। থট রিডিং, অলৌকিক উপায়ে রোগ নিরাময় ইত্যাদি ক্রিয়ার কারণে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন। ১৯১১ সালে জন্ম ভ্যাঙ্গেলিয়ার। বাল্যকালে তাঁর আর পাঁচটা মেয়ের মতোই সাধারণ ও ‘স্বাভাবিক’ ছিলেন তিনি।

কিন্তু এক ঘূর্ণিঝড় এসে সব ওলট পালট করে দেয়। ভ্যাঙ্গেলিয়া স্বয়ং জানিয়েছিলেন, ঝড় তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাঁকে পাওয়া যায়। চৈতন্য ফিরতে তিনি টের পান, তাঁর চোখে কোনও সমস্যা হয়েছে। ক্রমে তিনি সম্পূর্ণ ভাবে দৃষ্টিশক্তি হারান।

১৯২৫-এ ভ্যাঙ্গা দৃষ্টিহীনদের জন্য এক বিশেষ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরে তিনি পিয়ানো বাজানো, রান্না করা, উল বোনা ইত্যাদিও শেখেন। এই সময় থেকেই তাঁর মধ্যে অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার উদয় দেখা দেয়। তিনি ভবিষ্যতে ঘটবে, এমন ঘটনার কথা অবলীলায় বলতে শুরু করেন। অচিরেই তাঁকে ‘বলকানের নস্ত্রাদামুস’ বলে অভিহিত করা হয়। তাঁর খ্যাতি দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে।

বাবা ভ্যাঙ্গা যে ভবিষ্যদ্বাণীগুলি করেছিলেন, তার মধ্যে অনেক ঘটনাই মিলে গিয়েছে। বিচিত্র সব ভবিষ্যদ্বাণী আর পৃথিবী ধ্বংসের তারিখ জানিয়েছিলেন এই অন্ধ মহিলা এখানে রইল তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর নির্বাচিত কিছু অংশ।

• বিশ্ব রাজনীতিতে চিনের প্রবল উত্থানের কথা বলে গিয়েছিলেন বাবা ভ্যাঙ্গা। সেই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, এই দেশ শুক্রগ্রহে নতুন কোনও শক্তির উৎস খুঁজে বের করবে।

• ২০১৮-এর পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংকটের মধ্যে পড়বে বলে জানান তিনি।

• ২০২৮ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট দেখা দেবে, এমন কথাও তিনি বলেছিলেন।
• বাবা ভ্যাঙ্গার মতে, ২০১৬ সাল থেকে ইউরোপের অবলোপ ঘটবে। ব্রেক্সিটের কথা মাথায় রাখলে একথা অস্বীকার করা যাবে না।

• ইসলামি শক্তির দ্বারা ইউরোপ বিপন্ন হয়ে পড়বে। সিরিয়ায় ইসলামি শক্তিগুলি বিপুল যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে।
• ২০৪৩ নাগাদ রোম একটি মুসলিম নগরীতে পরিণতি পাবে। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে খিলাফতের শাসন।

• ২১৩০ সাল নাগাদ মানুষ জলের তলায় বসবাসের বন্দোবস্ত করে ফেলবে।

• ২০৪৫ সাল নাগাদ বিশাল হিমশৈলগুলি গলতে শুরু করবে। পৃথিবীর অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে তখন।

• ২০৭৬ সাল নাগাদ ইউরোপে কমিউনিজম আবার মাথা চাড়া দেবে এবং তার প্রভাব পড়বে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও।

• ৩৭৯৭ সাল নাগাদ পৃথিবীর ধ্বংস অনিবার্য। কিন্তু ততদিনে মানুষ এক নক্ষত্রলোকের সন্ধান পাবে। সেই স্থানেই গড়ে উঠবে পৃথিবীর উপনিবেশ।

১৯৯৬ সালে প্রয়াত হন বাবা ভ্যাঙ্গা। তখন তাঁর বয়স ৮৫ বছর।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে