রুবেলকে যেমন ভালোবাসেন, সেরকমই পছন্দ করেন পায়েল! সেদিন রুবেলকে মঞ্চে পেয়ে তার সাথে...

নাজনিন আক্তার হ্যাপি- উঠতি অভিনেত্রী, ইশরাত পায়েল- উঠতি উপস্থাপিকা। এই দুজন বিনোদন জগতের আলোচিত তরুণী। কিন্তু হঠাৎ করেই তারা চলে এসেছেন বাংলাদেশের খেলার ভুবনে। নিজেদের জগতে তারা এখনও যতটা না আলোচিত তার চেয়ে বেশি এখন খেলায়। এই দুজনকেই খেলার ভুবনে যুক্ত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন।

হ্যাপি-রুবেলের কিচ্ছা-কাহিনী কার না জানা আছে। দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের সংবাদ মাধ্যমেও প্রকাশিত হয় তাদের মুখরোচক কাহিনী। হ্যাপির মামলায় রুবেল হোসেনকে জেলও খাটতে হয়েছে দুই দিন। কিন্তু এই পায়েলের আগমন কোথা থেকে! রুবেল হোসেন একটি সেলফি তুলেই ইশরাত পায়েলকে যুক্ত করেছেন হ্যাপি বিতর্কের সঙ্গে। তাতেই ক্ষিপ্ত হ্যাপি পায়েলকে নিয়ে শুধু ফেসবুক স্ট্যাটাসই দেননি। ফোন করে শাসিয়েছেনও।

মঞ্চে যখন তিনি উঠছিলেন তখনই ‘হ্যাপি-হ্যাপি’ রব উঠেছিল। বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স করার পর রুবেলের উপর বাড়তি দৃষ্টি ছিলই। আর ১১ এপ্রিল ২০১৫ সেদিন রুবেলকে মঞ্চে পেয়ে তার সাথে একটা সেলফিও তুলে নিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সংবর্ধণা অনুষ্টানের উপস্থাপক ইশরাত পায়েল। আর ছবিটা পাওয়া যায় পায়েলের ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে।

বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা মঞ্চে পায়েল আসতেই ‘হ্যাপি হ্যাপি’ আওয়াজে উত্তাল অনুষ্ঠানস্থল৷ আওয়াজ শুনে একটু চমকেই গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সঞ্চালিকা ইশরাত পায়েল৷ ব্যাপার কী!

বাংলাদেশের স্পিডস্টার রুবেলের সঙ্গে যে হ্যাপীর সম্পর্ক ছিল তিনি কি সেখানে ছিলেন না? একটু পরে সঞ্চালিকা বুঝলেন তাকেই রুবেলের নতুন হ্যাপী বলে ধরে নিয়েছেন দর্শকরা৷ অনুষ্ঠানের শেষে রুবেলের সঙ্গে তার এক সেলফি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে ধরে নেন যে, হ্যাপীকে ভুলে পায়েলেই মজেছেন রুবেল৷

সে কথা সত্যি? পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে যখন আগুন ঝরাচ্ছেন রুবেল, পায়েলের দাবি, রুবেলের সঙ্গে তার সম্পর্কের কোনো ব্যাপার নেই৷ দেশের আর পাঁচজন ক্রিকেটার হিসেবে রুবেলকে যেমন ভালোবাসেন, তিনিও সেরকমই পছন্দ করেন৷ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওর খেলা দেখতে যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল তার কিন্তু তিনি যাননি৷ তা নিয়ে বাংলাদেশজুড়েই শুরু হয়েছে নানা জল্পনা এবং কল্পনা৷

যে রুবেলের খেলা দেখতে ভালোবাসেন, তার খেলা দেখতেই মাঠে গেলেন না কেন পায়েল? ক্রিকেট দেখতেই ভালোবাসেন তিনি৷ তাহলে না যাওয়ার কারণ কি? মনে করা হচ্ছে, এদিন তাকে মাঠে দেখা গেলে রুবেল-পায়েল রসায়ন নিয়ে অস্বস্তিতে পড়তে হতো।

সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের মুখে তাকে পড়তে হতে পারে৷ আবার সেদিনের মতো দর্শকদের চিৎকারে মুখ রাঙিয়ে যেতে পারে৷ তাই প্রশ্নবান এড়াতেই এদিন তিনি স্টেডিয়ামুখি হননি৷

খেলা দেখতে না যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলতে চাননি৷ মুচকি হেসে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান তিনি।  তবে হাসির মধ্যে একটা দুষ্টমিও পাওয়া গেছে।  ইঙ্গিত দিয়েছেন, তার সঙ্গে রুবেলের কোনো একটা রসায়ন কাজ করছে৷ তা কি সেটা আর খুলে বলতে চাননি তিনি৷
এমটি নিউজ/আ শি/এএস