শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৮, ১১:৪০:৪৮

ভাগাড়ে পড়ে থাকা মরা পশুর মাংস কিনে খাচ্ছেন নাতো?

ভাগাড়ে পড়ে থাকা মরা পশুর মাংস কিনে খাচ্ছেন নাতো?

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক  : ভাগাড়ে পড়ে থাকা মরা পশুর মাংস কিনে খাচ্ছেন নাতো? ভারতের দক্ষিণ শহরতলির বজবজ এলাকার একটি ভাগাড় থেকে মৃত পশুর মাংস কেটে নিয়ে যাচ্ছিল কিছু যুবক। তাদের দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। ওই যুবকদের জিজ্ঞাসা করে তারা জানতে পারেন, বিভিন্ন রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকানে সরবরাহের জন্যই ভাগাড় থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে মৃত পশুর মাংস।

বজবজের ময়লা ডিপো এলাকার ওই ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে অভিযুক্ত ওই যুবকদের। পুলিশ বলছে, রাজা মল্লিক নামে বজবজ পৌরসভার এক কর্মীও ওই পাচার-চক্রে জড়িত বলে অভিযোগ পাওযা গেছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভাগাড়ে কবে, কোন পশুর দেহ ফেলা হচ্ছে, সেই খবর রাজাই জানাতেন ওই যুবকদের। তার পর ওই যুবকেরা হানা দিত সেই ভাগাড়ে। জঞ্জালের স্তূপ থেকে মৃত পশুর দেহটি বের করে তার ছাল ছাড়িয়ে কেটে নেওয়া হতো মাংস।

সেই মাংস ছোট ছোট করে কেটে প্লাস্টিকের প্যাকেটে ভরে পাঠিয়ে দেওয়া হতো কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁ ও খাবারের দোকানে। শ্যামলাল নামে এক যুবকের ট্যাক্সিতে ওই মাংস পাচার করা হতো।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেউ যাতে দেখে না ফেলে, তার জন্য গভীর রাতে এ কাজ করা হতো। চলতো ভোর পর্যন্ত। পশুটিকে খুঁজে বের করে তা থেকে মাংসের টুকরো প্যাকেটবন্দি করা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটাই রাতের অন্ধকারে চুপিসারে চলতো।

তার পরে সকাল হতেই শ্যামলালের ট্যাক্সিতে তুলে দেওয়া হতো সেই মাংস। শ্যামলাল কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁয় তা পৌঁছে দিতেন বলে জানা গেছে। ওই পাচার-চক্রে শ্যামলাল ও রাজা ছাড়া আরো ছয়জন রয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

শ্যামলাল ও রাজাকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে ফেলে শ্যামলালের ট্যাক্সি ভাঙচুর করেন। দু’জনকেই আটক করে বজবজ থানার পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বজবজ পৌরসভার কর্মী রাজাই ওই ভাগাড় দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানেই বজবজ পৌর এলাকার মৃত পশুদের দেহ ফেলা হয়। প্রায় রোজই গরু, ছাগল, কুকুর, বেড়াল-সহ বিভিন্ন পশুর দেহ ফেলা হয় সেখানে। সকাল থেকে কয়টি পশুর দেহ ফেলা হলো, সেই হিসেব রাখতেন রাজা। তার পরে খবর পাঠাতেন ওই মাংসের পাচারকারীদের।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে