সোমবার, ২১ মে, ২০১৮, ১০:৩১:৪১

অন্ধকার রাতে একা একা মোবাইল নিয়ে দাপাদাপি করছেন কি? ডেকে আনছেন মহাবিপদ!

অন্ধকার রাতে একা একা মোবাইল নিয়ে দাপাদাপি করছেন কি? ডেকে আনছেন মহাবিপদ!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: ঘুম যতক্ষণ না আসছে, ততক্ষণ মোবাইলে দাপাদাপি। আর এই কাজে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন আপনি। এভাবে অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন।

পরিসংখ্যান বলছে, ২৫-৩৫ বছর বয়সিদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই রাতে শুতে যাওয়ার সময় বালিশের পাশে মোবাইল ফোন রাখেন। তারপর চলতে থাকে ঘুম না আসা পর্যন্ত। এই লেখাটি পড়ার পর আর কোনও দিন শুতে যাওয়ার আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না।

আসলে অন্ধকারে মোবাইলের নীল আলো চোখের মারাত্মক ক্ষতি তো করেই। সেই সঙ্গে শরীরে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুম আসতে চায় না। আর দিনের পর দিন রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলে শরীরে একে একে বাসা বাঁধতে শুরু করে একাধিক জটিল রোগ। এছাড়াও দেখা দেয় আরও নানা রকমের সমস্যা। যেমন:-

১. মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়: ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। শুধু তাই নয় ব্রেণে রক্ত প্রবাহে নানা বাঁধা আসতে শুরু করে। ফলে মস্তিষ্ক সম্পর্কিত নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মকভাবে বেড়ে যায়।

২. ঘুম কমে যায়: যেমনটা আগেও বলেছি মোবাইল ফোনের আলো নানা ভাবে শরীরে মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। ফলে সহজে ঘুম আসতে চায়। কারণ আমাদের ঘুম কতটা ভাল হবে, তা অনেকাংশেই নির্ভর করে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণের উপর।

৩. দৃষ্টিশক্তি কমে যায়: অন্ধকারে অনক সময় ধরে মোবাইল ঘাটলে তার নীল আলো সরাসরি চোখের উপর পরতে থাকে। যে কারণে চোখে যন্ত্রণা হতে পারে। আর দীর্ঘদিন ধরে যদি এমনটা হতে থাকে, তাহলে এক সময়ে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে কিন্তু!

৪. রেটিনা খারাপ হতে শুরু করে: অন্ধকারে মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার নীল আলো রেটিনার কার্মক্ষমতা কমাতে শুরু করে। দীর্ঘ দিন ধরে যদি এমনটা চলতে থাকে তাহলে দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই যদি কম বয়েস অন্ধ হতে না চান, তাহলে আজ থেকেই ফোনটা নিজের থেকে দূরে রেখে শুতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। নাহলে কিন্তু বিপদ!
 
৫. ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়: মোবাইলের নীল আলোর কারণে শুধু মেলাটোনিন হরমোন নয়, সেই সঙ্গে আরও সব হরমোনের ক্ষরণে বাঁধা আসতে শুরু করে, ফলে শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে, যা ক্যান্সার রোগে, বিশেষত ব্রেস্ট এবং প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ায়।

তাহলে আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, সুস্থ ভাবে বাঁচতে চান না মোবাইলকে জীবনের আগে রাখতে চান।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে