বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮, ১০:০৯:০৫

প্রথম বিসিএসসে দুজনেই প্রথম! কারা এই দুই ভাগ্যবান…

প্রথম বিসিএসসে দুজনেই প্রথম! কারা এই দুই ভাগ্যবান…

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: জীবনের প্রথম চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিলেন দুজন। সেই পরীক্ষাতেই বাজিমাত করে ৩৭তম বিসিএসসে প্রথম হলেন দুজনই। প্রশাসন ক্যাডার এবং পররাষ্ট্র ক্যাডারে দুজনই অর্জন করলেন প্রথম স্থান।

মঙ্গলবার এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তকী ফয়সাল আর পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমত আলী শাকিল।

বগুড়া জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক আর আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তকী ফয়সাল। দুটোতেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে ভর্তি হলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলও করেছেন ভালো। বিসিএস ছাড়া কোথাও চাকরির চেষ্টা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় শুধু একাডেমিক পড়াশোনাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। বিএসসি চূড়ান্ত ফলাফলের পর বড় ভাইয়ের উৎসাহে বিসিএসের প্রস্তুতি শুরু। তার বড় ভাই রফি ফয়সালও ৩৪তম বিসিএসে প্রাণিসম্পদ ক্যাডার। বড় ভাইয়ের পরামর্শে এ সাফল্য অর্জন করলেন তিনি।

যখন ফলাফল ঘোষণা করা হলো, তখন ফয়সাল নিজেই খুদে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল দেখে কিছুটা বিস্মিত হলেন। প্রথম হবেন, সেটা কখনো ভাবেননি তিনি। ফলাফলের পর থেকেই আত্মীয় আর বন্ধুরা শুভকামনা জানাতে লাগলেন তকীকে। বাবা মোকাররম হোসেন উত্তরা ব্যাংকের কর্মকর্তা আর মা নাজমুন নাহার গৃহিণী। দুজনই তাঁকে সারাক্ষণ উৎসাহ দিয়ে যেতেন। নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এই ফলাফল হয়েছে বলে জানালেন তকী ফয়সাল।

দেশের জন্য কাজ করতে প্রশাসন ক্যাডার একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম। নানাভাবে দেশের সেবা করার সুযোগ আছে। আর সে জন্যই তার পছন্দ ছিল প্রশাসন ক্যাডার।

পররাষ্ট্র ক্যাডারের মতো আকর্ষণীয় ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন রহমত আলী। গাজীপুর কাওরাইদ কে এন উচ্চবিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক আর ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিনি। দুই পরীক্ষাতেই গোল্ডেন জিপিএ-৫ পান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ থেকে অনার্সে সিজিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩ দশমিক ৯৮ আর মাস্টার্সে ৩ দশমিক ৯৬। ভালো ফলের জন্য পেলেন প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন তিনি। কোথাও কোচিং করেননি। বিসিএসের ভাইভা বোর্ডে ছিলেন ২৫ মিনিটের মতো। নিজে নিজেই পড়ে বাজিমত করেন বিসিএসসে।

নিজের ফলাফলে যখন দেখলেন পররাষ্ট্র ক্যোডরে প্রথম হয়েছেন, তার কাছে অবিশ্বাস্যই মনে হয়েছে। রহমতের বাবা এস এম নাজিম উদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিদর্শক আর মা শিরিনা খাতুন গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারী গ্রামে।

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার চেষ্টা করে যাবেন বলে দুজনই জানান। তবে যারা নতুন বিসিএস দিচ্ছেন, তাঁদের জন্য রহমত ও ত্বকীর পরামর্শ, ‌‘যখন যে বিষয়ে পড়বেন, গভীরে গিয়ে পড়বেন। এতে অনেক ভালো ধারণা তৈরি হবে। এটাই আপনাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে