রবিবার, ২২ জুলাই, ২০১৮, ১০:০২:০৫

১১৩ বছর আগে ডুবে যাওয়া সোনাবোঝাই জাহাজের সন্ধান!

১১৩ বছর আগে ডুবে যাওয়া সোনাবোঝাই জাহাজের সন্ধান!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক:  এক শতকের বেশি সময় আগে রাশিয়া-জাপান যুদ্ধের সময় সাগরে ডুবে যাওয়া একটি বিশাল রুশ জাহাজ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি। ১১৩ বছর আগে ডুবে যাওয়া ওই জাহাজে সোনা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর সিএনএনের।

দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি সিনহিল গ্রুপ ওই জাহাজ খুঁজে পাওয়ার পর জানায়, পাঁচ হাজার আটশ’ টন ওজনের দিমিত্রি দোন্সকোই ১৮৮৫ সালে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু ১৯০৫ সালে সুশিমা যুদ্ধে বর্তমান দক্ষিণ কোরিয়া-জাপানের জলসীমানায় রুশ-জাপানিজ যুদ্ধের সময় জাহাজটি ডুবে যায়। ওই যুদ্ধে শেষপর্যন্ত হেরে যায় রাশিয়া।

জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর সেটি খুঁজতে অসংখ্যবার চেষ্টা করা হয়েছে। একইসঙ্গে সেটির ভেতর থাকা ধনসম্পদ বের করার চেষ্টা হয়েছে।

যুদ্ধ ব্যয়ের জন্য জাহাজের ভেতর অনেক সোনার কয়েন ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার আগে দোংগা কন্সট্রাকশন কোম্পানি চলতি শতকের প্রথম দশকে ওই জাহাজটি খুঁজে বের করতে ও সেটি উদ্ধার করতে অভিযান চালায়।

খবরে বলা হয়েছে, ওই জাহাজে কোটি কোটি ডলারের কার্গো ছিল। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার ফলে দোংগা কোম্পানির শেয়ারদর পড়ে যায়।

সিনহিল গ্রুপ জানিয়েছে, তাদের বিশ্বাস ওই জাহাজটির দাম একশ কোটি ওয়ান (আট লাখ ৮৪ হাজার ডলার) হবে। কিন্তু জাহাজটির ভেতর কত মূল্যমানের সোনা রয়েছে তা স্পষ্ট নয়। আর জাহাজটির ভেতর থেকে কতটুকু স্বর্ণ উদ্ধার করতে পারবে সিনহিল গ্রুপ সেটা এখনও অস্পষ্ট। দক্ষিণ কোরিয়ার মহাসাগর ও মৎস্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সিনহিল গ্রুপ এখনও উদ্ধারের অধিকার চেয়ে আবেদন করেনি। আর এটি উদ্ধার করতে হলে, তারা যা উদ্ধার করবেন সেটির সমপরিমাণ মূল্যের ১০ ভাগ ওই এলাকা নৌ পুলিশকে ডাউন পেমেন্ট করতে হবে।

এদিকে সিনহিল গ্রুপের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা উদ্ধারের জন্য নির্দিষ্ট ফি ছাড়াও ১০ শতাংশ অর্থ উল্লেউংদো দ্বীপের পর্যটন প্রজেক্টের জন্য, একটি মুভি সেট এবং জাহাজের একটি মেমোরিয়ালও দেবেন। সিনহিল গ্রুপ জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার তারা জাহাজটি খুঁজে পায়। বোমা হামলার কারণে জাহাজের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্যান্য অংশ ভালো আছে। তারা বলছে, জাহাজের একটি অংশে সিরিলীয় লিপিতে ‘দোন্সকোই’ নাম খোদাই করা ছিল।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে