বুধবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৮, ১০:০১:১৭

যে ৯টি ‘বিষাক্ত’ খাবার আমাদের রান্নাঘরেই থাকে!

যে ৯টি ‘বিষাক্ত’ খাবার আমাদের রান্নাঘরেই থাকে!

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক: স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বেশির ভাগ মানুষ মনে করে যে সব ধরণের ফল ও সবজিই বুঝি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু সত্যি কথা হল, এমন অনেক ফল ও সবজি আছে যাদের বিশেষ কোনও অংশ বিষাক্ত উপাদানে ভরপুর, যা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আসুন এবার সেই সব খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক যেগুলির মধ্যে থাকা বিষাক্ত উপাদানের কথা আমরা হয়তো জানি না।

১) আপেল: কথায় বলে, যদি প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়া যায়, তাহলে চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু আপেলের বীজে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নামের বিষ রয়েছে। আমরা সাধারণত আপেলের বীজ খাই না। কিন্তু আপেলের বীজ যদি কোনও কারণে পেটে চলে যায় তাহলে বিপদ হতে পারে। তাই আপেলের জুস তৈরির সময় আপেলের বীজ যেন না যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।

২) চেরি: চেরি জনপ্রিয় একটি ফল। চেরি কাঁচা বা রান্না করেও খাওয়া হয়। মদ তৈরিতেও চেরির ব্যবহার করা হয়। চেরির পাতা এবং বীজে বিষাক্ত উপাদান আছে। চেরির বীজকে চূর্ণ করার সময় প্রুসিক এসিড (হাইড্রোজেন সায়ানাইড) উৎপন্ন হয়। তাই কখনওই চেরির বীজ চুষে খাবেন না।

৩) কাজুবাদাম: মিষ্টি কাজুবাদাম ও তেতো কাজুবাদাম, এই দুই ধরণের কাজুবাদাম পাওয়া যায়। তুলনামূলক ভাবে তেতো কাজুবাদামে প্রচুর হাইড্রোজেন সায়ানাইড থাকে। সাত থেকে দশটা তেতো কাজু বাদাম কাঁচা খেলে প্রাপ্তবয়ষ্কদেরও সমস্যা হতে পারে এবং ছোটদের ক্ষেত্রে তা প্রাণনাশক হতে পারে! নিউজিল্যান্ড, আমেরিকার মতো দেশ এই তেতো কাঁচা কাজু বাদাম বিক্রি করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছ।

৪) জায়ফল: জায়ফল-এ মাইরিস্টিসিন আছে। সাধারণত রান্নায় যে পরিমাণ জায়ফল ব্যবহার করা হয় তা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু জায়ফল বেশি পরিমাণে খেলে বমি বমি ভাব, খুব ঘাম হওয়া, মাথাঘোরা, মাথাব্যথা বা হ্যালুসিনেশন-এর মতো সমস্যা হতে পারে।

৫) আলু: এমনিতে আলু খাওয়া নিরাপদ। কিন্তু আলুর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে। বাড়িতে অনেক দিন পর্যন্ত আলু রেখে দিলে এর মধ্যে গ্যাঁজ অঙ্কুর হয়ে যায়। এই গ্যাঁজ বা অঙ্কুরে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা আলোর সংস্পর্শে বৃদ্ধি পায়। এই জন্য আলু সব সময় ঠাণ্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হয়। সবুজাভ ও গ্যাঁজ হওয়া আলু খেলে ডায়রিয়া, মাথাব্যাথা-সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

৬) কাঁচা মধু: কাঁচা মধুতে গ্রায়ানক্সিন থাকে। তাই এক টেবিল চামচ কাঁচা মধু খেলে মাথাঘোরা, দুর্বল লাগা, অত্যধিক ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব হওয়ার মতো নানা উপসর্গ দেখা দেয়।

৭) টমেটো: আলুর মতোই টমেটোর পাতা ও কাণ্ডে গ্লাইকোএ্যল্কালয়েড থাকে যা হজমে সমস্যা সৃষ্টি করে। কাঁচা সবুজ টমেটোতেও এই একই উপাদান রয়েছে। তবে অল্প পরিমাণে খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার ভয় নেই।

৮) শিম এর বীজ: শিম এর বীজে ফাইটোহিমাটোগ্লুটানিন নামক বিষ থাকে যা আপনাকে মারাত্মক অসুস্থ্য করে দিতে পারে। তাই শিম রান্নার আগে অন্তত ১০ মিনিট সিদ্ধ করে তারপর রান্না করতে হবে।

৯) ক্যাস্টর অয়েল: রেড়ীর তেল বিভিন্ন ধরণের ক্যান্ডি, চকলেট বা অন্যান্য খাদ্যে ব্যবহার করা হয়। অনেকেই প্রতিদিন একটু-আধটু ক্যাস্টর অয়েল খেয়ে থাকেন। রেড়ীর বীজে রিচিন নামের বিষাক্ত উপাদান থাকে যা খুবই মারাত্মক। রেড়ীর একটা বীজ খেলে একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চারটা রেড়ীর বীজ খেলে একটা ঘোড়ার মৃত্যু হতে পারে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে