সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৪:১৯:৪২

বিশ্বের বিচিত্র ৭টি গাড়ির সাতকাহন

বিশ্বের বিচিত্র ৭টি গাড়ির সাতকাহন

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : যাতায়াতের সুবিধার জন্য মানুষ বহু যানবাহনের আবিষ্কার করেছে। সময়ের সাথে যানবাহনের আকৃতি ও প্রকৃতিও বদলেছে। এখানে বিচিত্র ৭টি যানের সাতকাহন তুলে ধরা হল। এর মধ্যে কোনওটি পেট্রল-ডিজেলে চলে, কোনওটি আবার নেহাৎ মনুষ্যচালিত শক্তিতেই চলে।

১. সুকুদু: দু’টি ছোট ছোট চাকা, একটি হাতল, মালপত্র রাখার অনেকটা জায়গা – সব কিছুই কাঠের৷ এই হল সুকুদু৷ এই অসাধারণ যানটি বিশেষ করে পূর্ব কঙ্গোয় বানানো এবং ব্যবহার করা হয়৷ সুকুদু স্রেফ ঠেলে চালানো হয়, তার ইঞ্জিনের দরকার পড়ে না!


২. জিপনি: ফিলিপিনের জিপনি ঠিক জিপ নয়, জিপ গোত্রীয় গাড়ি৷ ভস ভস করে ধোঁয়া বেরোয়, কেননা গাড়িগুলো খুবই পুরনো৷ গোড়াতে এই জিপনিগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন সৈন্যদের ফেলে রেখে যাওয়া জিপ থেকে তৈরি হতো৷ রংচংয়ে করা হত ফিলিপিনি ঢঙে৷ আজ অবশ্য নতুন মডেল কিনতে পাওয়া যায়৷


৩. মোপেড: ভিয়েতনামের হালকা অটোসাইকেল বা মোটরবাইকগুলি বিশেষভাবে জনপ্রিয়৷ রাজধানী হ্যানয়-এর বাসিন্দা ৬৫ লাখ, কিন্তু মোপেড চলে ৪০ লাখ৷ টুরিস্টরাও মোপেডে চড়ে শহর দেখতে ভারী পছন্দ করেন৷

৪. বাঁশের ট্রেন: আসল নাম হল নরি৷ ‘নরি’-তে আজ আর বিশেষ যাত্রী ওঠেন না৷ কিন্তু বাঁশের ট্রেন ব্যাকপ্যাক টুরিস্টদের কাছে খুবই প্রিয়৷ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে, ছোটখাটো গাঁ পেরিয়ে যেতে ভালো লাগে বৈকি৷দেখা মিলবে কম্বোডিয়ায়।


৫.টুক টুক: টুক টুক শুধু থাইল্যান্ডেই নয়, বিশ্বের বহু দেশে চলে৷ পর্যটকদের বিশেষ প্রিয়, কেননা টুক টুক ট্যাক্সির চেয়ে সস্তা৷ টুক টুক-এর আরেক নাম হল অটো রিকশা৷

৬. সাইকেল রিকশা: ভারতেও অন্তত মফস্বলে – সাইকেল রিকশা ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না৷ আধুনা সাইকেল রিকশার মডেলেও ঘটেছে হাজারো রকমফের।

৭. মালবাহী বাইসাইকেল: ইউরোপে এখন সাইকেল থেকে রিকশা, অশ্বশক্তির বদলে পেশিশক্তিতে চলে, এমন সব ধরনের যানের চল৷ কাজেই জার্মানিতে এই ধরনের ‘লাস্টেনরাড’ বা মালবাহী সাইকেল মালপত্র বওয়া থেকে শুরু করে কচিকাঁচাকে কিন্ডারগার্টেনে পৌঁছে দেওয়া, সব কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে৷


২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে