সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৫২:১৭

১৫টি অভ্যাসের যেকোনো একটিতে দেহের বারোটা বাজে

১৫টি অভ্যাসের যেকোনো একটিতে দেহের বারোটা বাজে

এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : রোজই তাড়াহুড়ো।  নিজের শরীর-স্বাস্থ্যের খেয়াল নেই। মাথায় কোনো এক সময় উঁকি দিলেও আমলে নেয়ার সুযোগ নেই।  সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, আমাদের শরীরের জন্য ঠিক কোনটা ভালো, আর কী কী ক্ষতির মুখে ধীরে ধীরে ঠেলে দিচ্ছে তার হদিসও রাখি না।   আগ্রহ করে কোনো সময় জানারও চেষ্টা করি না।  যেসব কারণে আপনার দেহের ক্ষতি হতে পারে তারই ১৫টি অভ্যাস।  জেনে নিই কি সব বিষয়-

১. অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন।  আর চোখ আটকে থাকে সামনের কম্পিউটার স্ক্রিনে।  দিন শেষে বাড়ি ফিরে শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার উঁকিঝুঁকি।  শুধু কি তাই দীর্ঘক্ষণ একভাবে বসে থাকার ফলে ক্রমেই বাড়তে থাকে মধ্যপ্রদেশ।  এই সবের থেকে নিজেকে বাঁচাতে চাইলে মাঝে মধ্যেই সিট থেকে উঠে একটু হেঁটে নিন।  পারলে ওয়াশরুমে গিয়ে একটু স্ট্রেচিংও করে নিতে পারেন।

২. লিফটে করে ওঠানামা করাটাই আপনার অভ্যাস।  কিন্তু এই অভ্যাসটা বদলানোর সময় এসে গেছে।  প্রতিদিন সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার অভ্যাস রপ্ত করুন।  এতে শরীর ঝরঝরে থাকবে।

৩. অফিসে লাঞ্চের সময়ও আপনি আপনার ডেস্কের মোহ কাটিয়ে উঠতে পারেন না।  বিশ্বাস করুন বা নাই করুন, সত্যিটা হলো, এভাবেই ক্রমশ বাড়তে থাকে ওয়েস্টলাইন।

৪. প্রতিদিন লাঞ্চে বাইরের খাবার খাওয়া আপনার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। সময় থাকতে এই অভ্যাস বদলে ফেলুন।  নইলে সামনে সমূহ বিপদ আপনার অপেক্ষায়।

৫. সারাদিনে কোনোক্রমে আপনি এক লিটার পানি পান করেন।  জানেন কি আমাদের শরীরে প্রায় ৬০ শতাংশই পানি।  ফলে সারাদিনে অন্তত আড়াই লিটার পানি পান না করলে শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা পড়ে। শরীর ভেতরে ভেতরে শুকিয়ে যায়।  দেখা দেয় ডিহাইড্রেশনের সমস্যা।

৬. অত্যাধিক চিন্তা করার বদঅভ্যাস বাদ দিন।  অযথা চিন্তা করে কি কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব! তাই আকাশ পাতাল ভেবে নিজেকে ব্যতিব্যস্ত না করে, হাসিমুখে জীবনযাপন করুন।  দেখবেন, সমস্যাও আপনার ধারে কাছে ঘেঁষবে না।

৭. সূর্যের আলো আপনার গায়ে লাগে না।  বাড়িতে এসি, গাড়ি এসি, অফিসও এসি।  সন্ধ্যা বা রাতে যখন অফিস থেকে বেরোন তখনও সূর্যের সঙ্গে মুলাকাত হওয়ার কোনও সুযোগই হয় না।  কিন্তু জানেন কি, দিনে অন্তত আধ ঘণ্টা সূর্যের আলোয় থাকা ভালো।  সূর্যের আলো থেকে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি পায়।  সুস্থ ও সতেজ থাকার জন্যে এই ভিটামিন ডি একান্ত জরুরি।

৮. মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন।  সারাদিনের ক্লান্তি আপনাকে এতটা ঘিরে ধরে রাতে যে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মেকআপ তুলতে ইচ্ছেই করে না। এটা অভ্যাসে পরিণত করবেন না।  মেকআপ থাকলে আপনার ত্বক নিঃশ্বাস নিতে পারে না। ফলে বাড়তে থাকে নানা রকম স্কিন ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কা।

৯. আপনার কোনো শখ নেই! এটা কিন্তু মোটেই ভালো নয়। সমীক্ষায় দেখা গেছে, যাদের খেলা, নাচ, গান, ছবি আঁকার মতো নানা শখ আছে তারা স্ট্রেসের মোকাবিলা বেশি ভালোভাবে করতে পারেন।

১০. দীর্ঘ সময় ধরে কানে হেড ফোন গোঁজা থাকলে দেখা দিতে পারে কানে শোনার সমস্যা এবং ভার্টিগো।

১১. ব্রেক নেয়া আপনার অভিধানে নেই।  ৩৬৫দিনই আপনার এক রুটিন। এমন অভ্যাস থাকলে তার থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে আসুন। বেড়াতে গেলে আপনার হৃদয় ভালো থাকবে।  আর হৃদরোগও আপনার থেকে বেশ কয়েক হাত দূরেই থাকবে।

১২. বিভিন্ন কাজে এদিক ওদিক যাওয়া আসা করতে করতে রাস্তাতেই আপনার কেটে যায় দীর্ঘ সময়।  আর এতে ক্লান্তি ঘিরে থাকে আপনাকে সর্বক্ষণ।  তাই চেষ্টা করুন, একটানা অনেকটা সময় রাস্তাঘাটে না কাটাতে।

১৩. আপনার ধূমপানের অভ্যাস থাকলে অথবা ধূমপান করেন এমন কারো সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ সময় কাটালে, একটু ভেবে দেখুন।  আপনি কিন্তু শরীরের মস্ত বড় ক্ষতি করে ফেলছেন।

১৪. গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়া আপনার অভ্যাস। এদিকে প্রতিদিন সকাল সকাল উঠে পড়তেই হয়।  ফলে ঘুমের সময় এসে দাঁড়ায় ওই পাঁচ-সাড়ে পাঁচ ঘণ্টায়।  এমনটা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে শরীরের উপর খারাপ প্রভাব পড়তে বাধ্য।  সেই সঙ্গে দেখা দেবে নানা অসুখ।  তাই চেষ্টা করুন কম করে অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমানোর।

১৫. ফল খাওয়া আপনার পোষায় না।  কিন্তু এই চিন্তা বদলাতে হবে যদি সুস্থ থাকতে চান।  সুস্থ, সতেজ ও নীরোগ থাকতে চাইলে দিনে একটি করে ফল খান।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে