নিউজ ডেস্ক: মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী বিপুলের ফাঁসি কার্যকরে সম্পূর্ণ প্রস্তুত জল্লাদ রাজু। ফাঁসি কার্যকর করার জন্য ম্যানিলা রশি, মৃত্যু কুপ প্রস্তুত করা হয়েছে ইতি মধ্যে।
রাষ্ট্রপতির প্রাণ ভিক্ষা নাকচের চিঠির সাথে ফাঁসি কার্যকরে সরকারি নির্দেশনাও এসেছে বলে জানা গেছে। তাই এই দুই জঙ্গির ফাঁসি যে কোন সময় কার্যকর করা হতে পারে বলে জানিয়েছে কারা সূত্র।
আজ সকালে মুফতি হান্নানের সঙ্গে শেষ দেখা করতে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে গেছেন তার পরিবারের চার সদস্য। বুধবার সকাল পৌনে ৬টার দিকে তারা গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের হাইসিকিউরিটি সেলের ভেতরে গেছেন বলে জনিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান।। তবে যে চারজন সেখানে গেছে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে পাঠানো কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি হাতে পাওয়ার পর মুফতি হান্নানের সঙ্গে দেখা করা জন্য ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয় তার পরিবার।
২০০৪ সালে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর সিলেটে হযরত শাহজালালের মাজারে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এ বছরের মার্চের ১৯ তারিখে ঐ মামলায় মুফতি আব্দুল হান্নানসহ তিনজনকে আপিল বিভাগের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত। গত ২২ মার্চ তাকে কারাগারে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার রায় পড়ে শোনানো হয়। এরপর ২৭ মার্চ প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন মুফতি হান্নান। তবে রাষ্ট্রপতি সেই আবেদন নাকচ করে দেন।
তার বিরুদ্ধে যশোরে উদীচির অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, গোপালগঞ্জে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং রমনা বটমূলে বোমা হামলাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলাতেও বিচারিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
১২ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস