বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:৪৩:১৪

ছেলের এলোপাতাড়ি কোপে মায়ের পর বাবার মৃত্যু

ছেলের এলোপাতাড়ি কোপে মায়ের পর বাবার মৃত্যু

নরসিংদী : সন্তান যখন শত্রু। বাংলাদেশের বহুল আলোচিত ছবিটির কাহিনীকেও হার মানায় নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়নের তুলশীপুর গ্রামের পাষণ্ড ছেলে শরীফ মিয়ার বাস্তব কাহিনী। ছেলের ধারালো দায়ের কোপে মায়ের পর অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাবাও।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ১০ অক্টোবর নরসিংদী সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়নের তুলশীপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে। পাষণ্ড পুত্র শরীফ মিয়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাবা মতি মিয়াকে (৬০) এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলের দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই মারা যান মা জমিলা বেগম (৫০)।

এ ঘটনায় থানায় সদর মডেল থানায় হত্যা মামালা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি ছেলে শরীফ।

পুলিশ ও পারিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত মতি মিয়া স্থানীয় এক সমবায় সমিতিতে ক্যাশিয়ার পদে চাকুরী করতেন। সমিতির লোকজন নিহত মতি মিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলে তার বাড়ি দখল করে নেয়। নিরুপায় হয়ে মতি মিয়া বাড়ির সামনে একটি কলাবাগানে অস্থায়ী ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। এতে বিদেশ ফেরৎ ছেলে শরীফ মিয়া খুব মর্মাহত হয়। প্রবাস জীবনের কষ্টার্জিত উপার্জন দিয়ে তৈরি করা বাড়ি পিতার ভুলের কারণে বেদখলের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি শরীফ মিয়া।

বিষয়টি নিয়ে পিতা-মাতার সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন শরীফ। এরই জের ধরে ১০ অক্টোবর সোমবার বিকালে উত্তেজিত শরীফ মিয়া দা দিয়ে তার পিতা মতি মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে তার মা এগিয়ে আসলে তাকেও কোপায় শরীফ। এতে ঘটনাস্থলেই মা জমিলা বেগম মারা যান।
 
গুরুত্বর আহত অবস্থায় মতি মিয়াকে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। চিকিৎসার ৯ দিনের মাথায় বুধবার সকাল ৮ টার দিকে মতি মিয়ার মৃত্যু হয়।

এদিকে হত্যার ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে সোহেল মিয়া তার ছোট ভাই শরীফ মিয়াকে প্রধান ও অজ্ঞাত নামা আরও ১০ জনকে আসমি করে সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
 
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া জানান, ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেয় শরীফ। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

১৯ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে