শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৮:৩৬:৫০

‘সাড়ে ৪ বছর আগে নিখোঁজ ব্যক্তির’ অর্ধশতাধিক হাড় উদ্ধার

‘সাড়ে ৪ বছর আগে নিখোঁজ ব্যক্তির’ অর্ধশতাধিক হাড় উদ্ধার

পাবনা : পাবনায় প্রায় সাড়ে ৪ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যক্তির মাথার খুলিসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গের ৬১টি হাড় উদ্ধার করেছেন র‌্যাব পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের গোয়ালবাথান পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুস সামাদের বসতবাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকের ভেতর থেকে এসব হাড় উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ আজিবরের ছেলে শান্ত এ হাড়গুলো তার বাবার বলে দাবি করেছে। তবে পুলিশ বলছে, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ১২ পাবনা ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে অভিযান চালিয়ে জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নের গোয়ালবাথান পশ্চিমপাড়া গ্রামে আবদুস সামাদের বসতবাড়ির শৌচাগারে ট্যাংকের ভেতর থেকে হাড় উদ্ধারের পর রাতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঈশ্বরদী থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০১২ সালের ১৪ আগস্ট মুলাডুলি ইউনিয়নের গোয়ালবাথান পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিবর রহমান (৪২) নিখোঁজ হন। ওই ঘটনায় আজিবরের ভাই ওসমান প্রামাণিক বাদী হয়ে ঈশ্বরদী থানায় একটি খুন ও গুমের মামলা করেন। মামলায় আজিবরের দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া খাতুন, গোয়ালবাথান গ্রামের মৃত আরফান আলীর ছেলে আবদুস সামাদ ও নূর হোসেনের ছেলে আবু হানিফকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্তের পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাদী ওসমান প্রামানিক আদালতে নারাজি আবেদন করায় মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সিআইডি তদন্ত শেষে তিনজনকে মামলায় আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বর্তমানে মামলাটি পাবনা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আজিবরের ছেলে শান্ত ও পরিবারের দাবি, উদ্ধারকৃত হাড় নিখোঁজ আজিবরের। দ্বিতীয় স্ত্রী তানিয়া খাতুনের পরকীয়ায় বাধা দেওয়ার কারণে আজিবরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর আসামী আবদুস সামাদের বাড়ির শৌচাগারের ট্যাংকের ভেতর লাশ গুম করা হয়েছিল।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই তালুকদার জানান, আজিবর নিখোঁজের পর থানায় মামলা হয় যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। মামলার বাদী ও পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা হাড়গুলো উদ্ধার করে থানায় জমা দিয়েছে। এগুলো আজিবরের হাড়গোড় কি না তা ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। ডিএনএ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। -বাংলা ট্রিবিউন।
২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে