সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:০৪:২৪

কাজে ফিরেছেন আশুলিয়ার ৫৯ কারখানার শ্রমিকরা

কাজে ফিরেছেন আশুলিয়ার ৫৯ কারখানার শ্রমিকরা

সাভার : আশুলিয়ার শিল্পাঞ্চল এলাকায় মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের মুখে বন্ধ হয়ে যাওয়া ৫৯টি পোশাক কারখানা বিজিএমইর নির্দেশে খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশের পর শান্তিপূর্ণভাবে উৎপাদনের কাজ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত আশুলিয়ার ওই এলাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এছাড়াও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রতিটি কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাবকে টহল দিতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিজিএমইর নির্দেশে সোমবার সকাল থেকে আশুলিয়ার সব পোশাক কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্নভাবে শ্রমিকরা সকাল থেকে কাজে যোগ দিয়েছে।’

সোমবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা দল বেধে কারখানায় প্রবেশ করেছে। কারখানায় প্রবেশের পর তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের উৎপাদন কাজ শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রিতীকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়াও বিভিন্ন কারখানার ছাটাইকৃত শ্রমিকরা কারখানার সামনে আসলেও তারা বাড়ি ফিরে গেছে।

১২ ডিসেম্বর থেকে আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন  দাবিতে বেশ কিছু পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি শুরু করে। কয়েকদিনের ব্যবধানে শ্রমিকদের এ বিক্ষোভ ওই এলাকার অর্ধশতাধিক কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষের মুখে বন্ধ হয়ে যায় ৫৯টি পোশাক কারখানা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মন্ত্রী, পোশাক মালিক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দফায় দফায় বৈঠক করেন। এরপর প্রতিটি পোশাক কারখানার সামনে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এরই জের ধরে বেশ কিছু শ্রমিক ছাটাই করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ফাউন্টেন, এনআরএন, দি রোজ ড্রেসেস, উইন্ডি গ্রুপ, হা-মীম গ্রুপ কারখানা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের পক্ষ থেকে মোট সাতটি মামলা দায়ের করা হয় আশুলিয়া থানায়। এছাড়াও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরিতে সহায়তা ও শ্রমিকদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের দুটি দায়ের করা মামলায় সাংবাদিক, বিএনপি চেয়ারম্যান ও শ্রমিক নেতাসহ এ পর্যন্ত ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে