বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৫:৫৯:৫৮

মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি

মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি

সিদ্ধার্থ সিধু : যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরঁদাড়ি গ্রামে জন্ম নেয়া মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের নামের সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে কেশবপুরে।

উপজেলার মেইন রোড চত্বরে মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে সাগরঁদাড়ীতে মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। মানববন্ধনে বক্তরা মধুসূদন সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি দাবি জানায়।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন কমিটির অন্যতম নেতা এ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকী, বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জনাব খসরু পারভেজ, জনাব মফিজুর রহমান নান্নু, জনাব আকমল হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, এস আর সাঈদ, দিলীপ মোদক, ইসলাম খান, রমেশ চন্দ্র দত্ত, অলোক বসু, উজ্জ্বল ব্যানার্জি, গ্যাবরিয়াল বিশ্বাস, শওকত আলী, তাপস দাস প্রমুখ।

ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট বাঙালি কবি ও নাট্যকার মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্ম ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি। তার জন্মবার্ষিকীতে কবির জন্মভূমি সাগরঁদাড়িতে সপ্তাহব্যাপী ‘মধুমেলা’ অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।  

কবি মধুসূদন বাংলা ভাষায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক। তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি অমিত্রাক্ষর ছন্দে রামায়ণের উপাখ্যান অবলম্বনে রচিত মেঘনাদবধ কাব্য নামক মহাকাব্য। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলি হলো দ্য ক্যাপটিভ লেডি, শর্মিষ্ঠা, কৃষ্ণকুমারী (নাটক), পদ্মাবতী (নাটক), বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ, একেই কি বলে সভ্যতা, তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য, ব্রজাঙ্গনা কাব্য, চতুর্দশপদী কবিতাবলী, হেকটর বধ ইত্যাদি। মাইকেলের ব্যক্তিগত জীবন ছিল নাটকীয় এবং বেদনাঘন। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতায় মৃত্যু হয় এই মহাকবির।

১৯ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে