বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭, ০৩:৫৮:৩৬

শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

 শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

নারায়ণগঞ্জ থেকে: নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বন্দরের এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।

আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অশোক কুমার দত্ত তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারি কৌঁসুলি ওয়াজেদ আলী খোকন।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৭ জুলাই শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক মোর্শেদা বেগম। আর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে শ্যামল কান্তিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় গত বছরের মে মাসে। এর দুই মাস পর মামলাটি করেন ওই শিক্ষিকা।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর বন্দরের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ইংরেজি শিক্ষক মোর্শেদা বেগমের চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার জন্য তাঁর কাছ থেকে প্রথমে ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নেন। পরে তাঁর কাছ থেকে আরও এক লাখ টাকা ঘুষ নেন। কিন্তু তাঁকে এমপিওভুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় গত বছরের ২৭ জুলাই তিনি আদালতে মামলা করেন।

আদালত সূত্র জানায়, আদালত বন্দর থানার পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। এ বছরের ১৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

শ্যামল কান্তির আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আদালত যেহেতু শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।’

বরাবরই শ্যামল কান্তি ভক্ত তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। তাঁর দাবি, তাঁকে চাপে রাখতেই প্রভাবশালী এক ব্যক্তির নির্দেশে ষড়যন্ত্রমূলক মামলাটি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি আজ বলেন, ‘আমি এখানে ন্যায়বিচার পেলাম না। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির কারণে আমাকে ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পিতভাবে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে ঘুষের অভিযোগ আনা হয়েছে, আমি কখনো এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। যে সময় ঘুষ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তখন শীতলকালীন বন্ধ ছিল বিদ্যালয়।’

গত বছর ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে শ্যামল কান্তিকে স্থানীয় সাংসদ সেলিম ওসমানের নির্দেশে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে ওঠবস করানোর ঘটনা ঘটে। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সারা দেশে তোলপাড় হয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে