শনিবার, ০৫ আগস্ট, ২০১৭, ১১:৪৩:২২

আঙুল উঁচিয়ে হুমকি, আমরা সারাজীবন কারাগারে থাকব না

আঙুল উঁচিয়ে হুমকি, আমরা সারাজীবন কারাগারে থাকব না

বগুড়া থেকে: নারী নির্যাতনের সংবাদ পরিবেশন করায় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিয়েছেন হুমকি দিয়েছেন তুফানের শ্যালিকা কাউন্সিলর রুমকি। বগুড়ায় ছাত্রী ও তার মা’কে শারীরিক নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় মুল হোতা সদ্য বহিস্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ও তার বড় শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে ফের রিমান্ড শুনানির জন্য শুক্রবার বিকেলে আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে তিনি ক্রোধান্বিত হয়ে পড়েন।

পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে বলেন, এত বাড়াবাড়ি করে সংবাদ প্রকাশ করা ঠিক নয়। বগুড়ার সাংবাদিকরা বেশি বেশি হয়ে গেছে। আমরা সারাজীবন কারাগারে থাকব না।

এরপর রুমকিকে আদালতের হাজত খানায় একা একা অনেক কিছু বলতে দেখা যায়। তবে, হাজতখানার মধ্যেও তাকে উত্তেজিতভাবে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমিকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় স্থানীয় সাংবাদিকদের তার চরম ক্ষোভ প্রদর্শন করছে।

রুমকিকে চারদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার ফের দুইদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

এক ছাত্রী ও তার মাকে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচিত তুফান-রুমকি পরিবার। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শ্রমিক লীগ নেতা তুফানের পরিচয় হয়। এসএসসিতে পাশ করলেও জিপিএ-৫ না পাওয়ায় ভালো কলেজে ভর্তি হতে পারছিলেন না ওই ছাত্রী। বিষয়টি জানার পর মতিন তাকে ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে বলে জানায়। এরপর গত ১৭ জুলাই সকালে তুফান তাকে ফোন করে এবং কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্রে স্বাক্ষরের জন্য শহরের চক সুত্রাপুরে তার বাড়িতে ডেকে তুফান ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করেন।

নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে নির্যাতিত ও তার মাকে ২৮ জুলাই ডেকে এনে মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকারের স্ত্রী, শ্যালিকা কাউন্সিলর রুমকিসহ অন্যান্য সহযোগীরা।

এ ঘটনা প্রকাশের পর মূল নায়ক শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারসহ ৪ সহযোগীকে প্রথম দিনে গ্রেফতার করে তিনজনকে তিনদিনের রিমান্ডে দেন আদালত। এর পরেরদিন কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকিকে চারদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।

এছাড়াও তুফানের স্ত্রী আশা, তুফানের শাশুড়ি রুমি, তুফানের শ্বশুর জামিলুর রহমান, সহযোগী জিতু, মুন্না ও নরসুন্দর জীবন রবিদাসকে দুইদিনের রিমান্ড নেওয়া হয়।

তুফান সরকারকে এরইমধ্যে শহর শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার তুফানের বড় ভাই আব্দুল মতিন সরকারকে শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে বহিষ্কার করা হয়। বুধবার দ্বিতীয় দফায় তুফান ও তার সহযোগী মুন্নাকে ২ দিনের এবং তুফানের স্ত্রী আশা বেগম, শাশুড়ী রুমা বেগমকে একদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে