রংপুর থেকে: রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন।
রোববার বিকেলে থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের দুর্গতদের উদ্ধার করে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসছেন সেনা বাহিনীর ৬৬ পদাদিক ডিভিশনের সদস্যরা। তারা হেলিকপ্টারে করে রংপুর বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা দুর্গত এলাকায় রয়েছেন এবং উদ্ধার তৎপরতার বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছেন। সেনাবাহিনীর ৬৬ পদাদিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মাসুদ রাজ্জাক উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
নোহালী ইউনিয়নের বন্যা কবলিত এলাকায় পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গা সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন, সেনাবাহিনী, জনগণের সহযোগিতায় তারা বন্যা কবলিতদের রক্ষা করতে পারবেন। বন্যাপরবর্তী যে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে জিও ব্যাগ, সিসি ব্লক দিয়ে নদী ভাঙনরোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বন্যায় রংপুরের গঙ্গাচড়া, পীরগাছা ও কাউনিয়া উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ। পানির তোড়ে ভেসে গেছে দুটি শিশু।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে রাতে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তিস্তা তীরবর্তী নিচু এলাকায় এখন কোমর পানি। ডুবে গেছে বাড়িঘর। কেউ কেউ উঁচু স্থান ও বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে বন্যার পানিতে বাড়িতে আটকা পড়েছেন। তাদের উদ্ধার সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা অভিযানে নেমেছেন।
মর্নেয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোছাদ্দেক আলী আজাদ জানান, পানির তোড়ে দুটি শিশু ভেসে গেছে। তবে তিনি তাদের পরিচয় জানাতে পারেননি। তিনি সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস