শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১৭, ০৬:২২:২৩

চারদিকে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত পলাশ

চারদিকে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত পলাশ

তারেক পাঠান নরসিংদী প্রতিনিধি: চারদিকে সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গ্রামীণ জনপদ। শুরু হয়ে গেছে আমন ফসলকে ঘরে তোলার কাজ।

কৃষক-কৃষানিরা এখন দারুণ ব্যস্ত ফসল তোলাকে কেন্দ্র করে। উপজেলার গ্রামগুলোতে কেবল সোনালী ধানের হাতছানি। আমনের আবাদ হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এবার পলাশ উপজেলায় তিন হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে।  

প্রতি হেক্টর জমিতে সাড়ে চার থেকে ৫ টন করে ফলন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন কৃষি অফিস। ব্রি- ৪৯, ৬২ ও বিনা- ৭ জাতের ধানের পাশাপাশি এবার প্রথম বারের মতো ব্রি- ৫২ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে । উচ্চ ফলনশীল ব্রি- ৫২ জাতের ধান চাষে আগ্রহ বাড়াতে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান কৃষি অফিস। পলাশ উপজেলায় প্রথম বারের মতো ব্রি- ৫২ জাতের ধান আবাদ করে ফলনও ভালো হয়েছে বলে জানান।

এই তো কয়েক দিন আগে নবান্ন উৎসবের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আমন ধান কাটা উদ্বোধন করেন,পলাশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলিপ। ‘ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কি দেখেছি মধুর হাসি‘ এমন নয়ন জুড়ানো সোনালী ধানের আভায় ভরে উঠেছে ফসলের মাঠ। পল্লী কবির ভাষায় বলা যায়, আমার বাড়ি যাইও ভ্রমর বসতে দেব পিঁড়ে জল পান যে করতে দেব শালি ধানের চিড়ে...।

ইতিমধ্যে উপজেলার অনেক এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। চারদিকে সবুজের সমারোহ আর সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধ জানান দিচ্ছে নবান্নের বার্তা। বাঙ্গালীর চিরায়ত উৎসবের মধ্যে নবান্ন উৎসব একটি। পিঠা-পায়েস, পুলি-ফিরনি, নতুন ধানের চিড়া আর বিন্নি ধানের খই ইত্যাদি তৈরিতে গ্রামীণ বধূরাও ব্যস্ত থাকেন ফসল ঘরে তোলার পর থেকে। বাড়িতে নতুন আত্মীয়-কুটুম আর নবান্নের উৎসবে মাতোয়ারা। কৃষকদের মতে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে, যা প্রত্যাশা করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাচ্ছে।
তবে হতাশা রয়েছে ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে। ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারলে তাদের এ হাসি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রমিক খরচ, সার, পানি, কীটনাশকসহ আনুষঙ্গিক খরচে হিমশিম খেতে হয় কৃষকদের। তার উপর ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়ায়। তাই কৃষকদের দাবি, সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে  খোলা বাজারে ধান সংগ্রহ করুক।
এমটি নিউজ/আ শি/প্রতিনিধি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে