সোমবার, ০৭ মে, ২০১৮, ০৮:৩৪:২৪

এসএসসি পরীক্ষায় ৯ এতিম কন্যার নজরকারা সাফল্য

এসএসসি পরীক্ষায় ৯ এতিম কন্যার নজরকারা সাফল্য

নাটোর থেকে: নাটোরের বেসরকারীভাবে পরিচালিত দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদনের ৯ এতিম মেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে। ১০ জন এবারের পরীক্ষায় অংশ নিলেও একজন উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

উত্তীর্ণদের মধ্যে আজিনা খাতুন সর্বোচ্চ জিপিএ ৪ দশমিক ৪৪ পেয়েছে। অন্যদের মধ্যে ফাতেমা খাতুন জিপিএ ৪ দশমিক ৩৯, বিথি খাতুন জিপিএ ৪ দশমিক ২২,পান্না খাতুন জিপিএ ৪, আরিফুন্নাহার জিপিএ ৩ দশমিক ৮৩, আজিনা খাতুন তিশা জিপিএ ৩ দশমিক ৭৮, সাথী খাতুন জিপিএ ৩ দশমিক ৫০, সুমি খাতুন জিপিএ ৩ দশমিক ৪৪ এবং জেসমিন খাতুন জিপিএ জিপিএ ৩ দশমিক ২৮ পেয়েছে।

পরীক্ষার্থীদের মধ্যে রানী খাতুন আইসিটি বিষয়ে ফেল করায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। শিশু সদনের নয়জনের পাশের খবর পেয়ে রোববার বিকেলে সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন। একজন ফেল করায় পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিশুদের মনে ছিল না কোন আনন্দ। তা দেখে বুকে জড়িয়ে ধরে তাদের শান্তনা দেন শাহিনা খাতুন।

সদন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল জানান, সদনের সকলেই দিঘাপতিয়া পিএন হাইস্কুল থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ওই স্কুলের একজন শিক্ষক এবং আরেকজন নারী আছেন সদনের শিশুদের প্রাইভেট পড়ানোর জন্য। এছাড়া দিঘাপতিয়া এমকে কলেজের অধ্যক্ষ সপ্তাহে ৩/৪ দিন শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষাদানসহ প্রাইভেট পড়ান।

তিনি জানান, সদনে থাকা ৮৪ জন এতিম মেয়ে শিশুর লেখাপড়ার জন্য সকল ব্যবস্থা আছে। দাতারা এসব খরচ বহন করেন। একজনের খারাপ ফলাফলে সকল শিশুদের মধ্যে কোনো আনন্দ ছিল না। ফলাফল ঘোষণার পর রানী ফেল কারায় সবাই কান্নাকাটি করে। তাদের শান্তনা দিয়েও থামানো যায়নি।

তবে ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই পাশ করায় খুব খুশি হয়েছেন বলে তিনি জানান। দিঘাপতিয়া বালিকা শিশু সদন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান, একজন ফেল করায় তিনি কষ্ট পেয়েছেন। তার বিশ্বাস ছিল ১০ জনই পাশ করবে। এরপরও ৯ জন পাশ করায় খুশি হয়েছেন।

তিনি বলেন, তারা সুযোগ পেলে উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভাল চাকরি করে সুন্দর জীবন কাটাবে। আশা করি আল্লাহর রহমতে আগামীতে সদনের শিশুরা আরও ভাল ফলাফল করবে।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে