বুধবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:১০:৫১

দর্শকশূন্য সিনেমা হল, ঈদের ছবিতেও লোকসান

দর্শকশূন্য সিনেমা হল, ঈদের ছবিতেও লোকসান

নজরুল ইসলাম, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের গফরগাঁও বাজারে অবস্থিত পুরনো সাথী সিনেমা হল বহু দিন হয় ভেঙে মার্কেট নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে মালিকপক্ষ। বন্ধ হওয়ার পথে পৌর শহরের একমাত্র আধুনিক সিনেমা হল রূপান্তরও। হলের সামনে দোকানপাট তৈরি করে মালিকপক্ষ ভাড়া দিয়েছে। শুধু বছরের দুই ঈদে ছবি চালানো হয়। এ ছাড়া হলটি বন্ধ থাকে। কারণ নতুন ছবি লাগালেও এখন আর মানুষ সিনেমা দেখতে হলে আসেন না।

জানা যায়, গফরগাঁও পৌর শহরের পশু হাসপাতাল রোডে অবস্থিত রূপান্তর সিনেমা হল, স্টেশন রোডে সাথী ও পাট মহলসংলগ্ন চাঁদনী সিনেমা হল, কান্দিপাড়া বাজারে ভাই ভাই সিনেমা হল, দত্তেরবাজারে তানিয়া সিনেমা হল, গয়েশপুর, শিবগঞ্জ ও ডাকবাংলো বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত আটটি সিনেমা হল একযোগে চলতো। দর্শকেরও অভাব ছিল না। অনেক ছবি ২-৩ সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে চলতো। কিন্তু চলচ্চিত্রের সেই রমরমা ব্যবসা এখন আর নেই। দর্শকরা ছবি দেখতে আর হলে আসে না। ফলে দর্শক না পাওয়ায় লোকসান দিতে দিতে মালিকপক্ষ হলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।

পৌর শহরের একমাত্র রূপান্তর সিনেমা হলটি এখনও টিকে আছে। তবে সারা বছর বন্ধ রেখে শুধু দুই ঈদে চালানো হয়। তাতেও লোকসান গুণতে হচ্ছে পরিচালকদের। ফলে রূপান্তর হলটিও চিরতরে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক নাট্যকর্মী বলেন, 'সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখার পরিবেশ কি আছে? তা ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ছবিগুলোতে নোংড়ামি, ভাড়ামি ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না। ছবির কাহিনি, সংলাপ, অভিনয়, পরিচালনা, প্রযুক্তির ব্যবহার, রোমান্স, কমেডি, আবেগ, অ্যাকশন সব কিছুই অত্যন্ত নিম্নমানের। ভাড়ামোপূর্ণ নিম্ন আবেগে ঠাসা। বাংলাদেশের ছবি দেখলে মনে হয় যেন মূর্খরাই চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে ছড়িত। তাই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ধ্বংসের পথে।

রূপান্তর সিনেমা হলের পরিচালক ও গফরগাঁও পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহজাহান সাজু বলেন, চলচ্চিত্রের ব্যবসা এখন নাই বললেই চলে। দর্শক পাওয়া যায় না। শুধু লোকসান দিতে হয়। গফরগাঁওয়ের একমাত্র রূপান্তর সিনেমা হলটিও এখন দুই ঈদ ছাড়া বন্ধ থাকে।

প্যানেল মেয়র আরও বলেন, এবারের ঈদে শাকিব খানের 'ক্যাপ্টেন খান' ছবিটি লাগানোর প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে মাইকিং করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু ঈদের দুই দিন ছাড়া প্রতিটি শো হাতেগোনা দর্শক নিয়ে চালাতে হয়েছে। ঈদের দুই দিনে এক লাখ টাকা উঠেছে। বাকিটা লোকসানের খাতায়।-কালের কণ্ঠ    

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে