সোমবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬, ০৪:৩৮:৫১

‘রান্নাঘরে কীর্তন গাইছিলি’ বলেই গুলি চালায় ওরা

‘রান্নাঘরে কীর্তন গাইছিলি’ বলেই গুলি চালায় ওরা

সাইফুল আলম বাবু, পঞ্চগড় থেকে : পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী সোনাপোতা গ্রামে দুর্বৃত্তরা একজন হিন্দু ধর্মীয় গুরুকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজনকে গুলি করা হয়। এ সময় আরেকজন পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।

তাদের দুজনই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় করতোয়া সেতুর পশ্চিম পারে শ্রীশ্রী সন্তগৌড়ীয় মঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ধর্মগুরু যজ্ঞেশ্বর রায়কে (৫০) ভক্তরা মহারাজ বা প্রভু বলে সম্বোধন করত।

তিনজনের একটি দল মোটরসাইকেলে করে এসে ছয় মিনিটের মধ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে গুলি ছুড়ে ও বোমা ফাটিয়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা না গেলেও দেশজুড়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর হামলা ও হুমকির ধারাবাহিকতার অংশ এটি।

হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় প্রকাশ্যে ধর্মীয় গুরুকে হত্যার ঘটনায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তারা আজ সোমবার উপজেলা সদরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করবে। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হিসেবে তারা গতকাল সকাল ১১টার দিকে করতোয়া সেতুর ওপর মানববন্ধন করে।

এ ঘটনায় রাতে দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যায়। তাদের মধ্যে একজন জেএমবি সদস্য, যে ২০০৫ সালের আগস্টে সারা দেশের মতো পঞ্চগড়ে জেএমবি জঙ্গিদের সিরিজ বোমা হামলা মামলার আসামি। এ ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে তিন যুবক করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুর পশ্চিম পাশে (নিচে) মঠে আসে। মোটরসাইকেলটি সেতুসংলগ্ন সড়কের ধারে রেখে দুজন নিচে নেমে এলেও একজন মোটরসাইকেলে বসে থাকে। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র ছিল।

ওই দুজন প্রথমে মঠের পাশে একটি টিনের চালা নির্মিত বাড়িতে বসবাসরত মহারাজের ঘরে ঢুকে তাকে বের করে বারান্দায় নিয়ে আসে। প্রথমে তারা তাকে লাথি মেরে বারান্দায় ফেলে দেয়। পরে চাপাতি দিয়ে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে গলা কেটে হত্যা করে। এসময়ই মঠে মঙ্গল আরতি দিতে আসা গোপাল চন্দ্র রায় ঘটনা দেখে ফেলেন।

তিনি দুর্বৃত্তদের দেখে পালাতে উদ্যত হলে একজন সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল) দিয়ে তাঁকে গুলি করে। এতে তিনি হাতে গুলিবিদ্ধ হন। এদিকে তাদের চিৎকারে মঠসংলগ্ন আরেক বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকা নির্মল চন্দ্র ঘুম থেকে জেগে বাইরে বেরিয়ে আসেন। দরজায় দাঁড়াতেই তিনি এক দুর্বৃত্তকে মঠের সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে দেখেন। তবে টের পেয়ে ওই দুর্বৃত্ত পিস্তল তার দিকে তাক করে ট্রিগার চাপলেও কোনো গুলি বের হয়নি।

এরপর তিনি ঘরের আরেক দরজা দিয়ে পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী বাজারের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। তিনি বাজারের দোকানি ও উপস্থিত লোকজনকে ঘটনা জানিয়ে সাহায্য কামনা করেন। লোকজন ঘটনাস্থলের দিকে আসতে থাকলে দুর্বৃত্তরা মন্দিরের পেছন দিক দিয়ে বের হয়ে পিস্তল উঁচিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেলে চড়ে বোদা-পঞ্চগড় সড়কের দিকে পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী নির্মল চন্দ্র আরো বলেন, ‘তিন দুর্বৃত্তের সবাই যুবক বয়সী। তারা প্যান্ট ও কালো জ্যাকেট পরা ছিল। যে দুজন গুরুজিকে কোপায় ও আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে তাদের মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি ছিল আর জ্যাকেটের হুডি দিয়ে মাথা ঢাকা ছিল।’

দেবীগঞ্জ থানার ওসি বাবুল আকতার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহূত ধারালো ও রক্তমাখা চাপাতি, একটি অবিস্ফোরিত বোমা, একটি গুলির খোসা ও একটি অব্যবহূত গুলি (কার্তুজ) জব্দ করা হয়েছে।

ওসি বাবুল আকতার দাবি করেন, ‘হত্যাকাণ্ডের আগে প্রায়ই পুলিশ পাঠিয়ে মঠের খোঁজখবর নেওয়া হতো। কোনো দিন কোনো সমস্যা বা কারো পক্ষ থেকে কোনো হুমকির অভিযোগ আমরা পাইনি।’

গতকাল সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মহারাজ যজ্ঞেশ্বরকে (৫০) যেখানে কোপানো হয়েছে সেখানে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। চারদিকে কৌতূহলী মানুষের ভিড়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। মঠসংলগ্ন ঘরে তাঁর স্বজনরা আহাজারি করছে। ঘরের বারান্দা ও আশপাশে শোকাতুর ভক্তরা হতবাক বসে আছে।

ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্ত প্রত্যক্ষদর্শী নির্মল চন্দ্র বর্মণ (৩৫) দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিত্সাধীন। তিনি বলেন, “আমি প্রভু (মহারাজ) ও গোপালের চিৎকার শুনে ঘুমের ঘোরে বাইরে বেরোনোর জন্য দরজায় দাঁড়াই। দেখি একজন সিঁড়ি দিয়ে পিস্তল হাতে। সে টের পেয়ে আমার দিকে পিস্তল তাক করে এগিয়ে আসে।

আমি তাকে বলি, ‘দাদা, এসব কী হচ্ছে? আপনি কী করছেন?’ তবে ওই লোক কোনো কথা না বলে পিস্তলে (ট্রিগারে) টিপ দেন। কিন্তু কোনো গুলি বের হয়নি। এর পরই দেখি, তিনি মুখ থেকে কিছু একটা নিয়ে পিস্তলে ভরছেন। এরই মধ্যে আমি গুরুকে ছুরি (চাপাতি) দিয়ে কোপাতে দেখি। এ সময় গুরু বারান্দায় পড়ে ছিলেন। পরে আমি কৌশলে ঘরের আরেক দরজা দিয়ে পালিয়ে পাশের বাজারে গিয়ে লোকজনের সহযোগিতা চাই।”

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে মাস্টার্স উত্তীর্ণ নির্মল গত বছরের ১৫ আগস্ট থেকে মঠে বসবাস করছিলেন। জীবনে কোনো দিন পুলিশ ছাড়া কারো কাছে পিস্তল দেখেননি জানিয়ে বলেন, ‘কিভাবে যে বেঁচে আসলাম জানি না। সবই ভগবানের কৃপা।’

প্রত্যক্ষদর্শী গোপাল চন্দ্র রায়কে (৩৩) গুরুতর আহত অবস্থায় গতকাল দুপুরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি মঠের রান্নাঘরে রুটি বানাচ্ছিলাম, আর গুনগুন করে কীর্তন গাইছিলাম। গুরুজির (যজ্ঞেশ্বর রায়) শরীরটা কয়েক দিন ধরে ভালো যাচ্ছিল না। হঠাৎ চিৎকার শুনতে পাই। ভাবলাম, গুরুজি বোধ হয় আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দ্রুত রান্নাঘর থেকে বের হয়ে দেখি দুজন লোক। রান্নাঘর থেকে বের হতেই ওই দুজন কোমর থেকে পিস্তল বের করে গুরুজির ঘর দেখিয়ে বলতে থাকে, ওই ঘরে যাবি তো তোকেও খুন করব। তোর গুরুজীকে শেষ করা হয়েছে। তোরা বড় আনন্দে আছিস, রান্নাঘরে কীর্তন গাইছিলি—এ কথা বলেই আমার বুক বরাবর গুলি ছুড়তে থাকে। আমি একটু নিচু হয়ে যাই, দুটি গুলি এসে বাঁ হাতে লাগে। এ সময় তাদের পিস্তল থেকে গুলি আর বের হচ্ছিল না। পিস্তলে গুলি ভরার জন্য তারা পকেট থেকে আরো গুলি বের করছিল। এই ফাঁকে আমি মঠের একটা দেয়াল টপকে অন্য পারে গিয়ে চিৎকার করতে থাকি।’

দুর্বৃত্তদের মোটরসাইকেলে যেতে দেখেছেন এমন একজন প্রত্যক্ষদর্শী সৎ রায় (২১) বলেন, লোকজনের চিৎকার ও বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমি এগিয়ে যাই। দেখি একজন সড়কের ওপরে মোটরসাইকেলে বসে আছে। দুজন দ্রুত এসে গাড়িতে (মোটরসাইকেলে) বসল। মুহূর্তের মধ্যেই তারা পঞ্চগড়-বোদা সড়কের দিকে চলে যায়।

ধর্মগুরুর ছোট বোন দিপালী রানী (৪০) আহাজারি করতে করতে বলছিলেন, ‘সোনার ভাই তোক কোনঠে পাইম। পাইম নারে আর। সোনাভাই আজি ছাড়িয়া গেছেরে। ভিতরটা পোড়া যায়’।

যজ্ঞেশ্বর রায়ের ভাইয়ের মেয়ে তৃপ্তি রায় (২৮) জানালেন, তাদের বাড়ি একই উপজেলার সোনাহার ইউনিয়নের কান্তুপাড়া ময়দানের হাট গ্রামে। তার কাকাবাবু মঠে রেখে তাকে সন্তানের আদরে দীক্ষা দিয়ে সাধু বানিয়েছেন। মাত্র তিন দিন আগে তিনি তাঁর কাকাবাবুকে (মহারাজ) মোবাইলে ফোন করে মন্দির (মঠ) কেমন চলছে, তিনি কেমন আছেন সেটা জানতে চান। উত্তরে তার কাকা কোনোমতে চলছে বলে জানান।

তিনি জানান, জমি বা অন্য কিছু নিয়ে তার সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল বলে শুনিনি। তবে কাকা মঠ পরিচালনার খরচ নিয়ে একটু চিন্তিত থাকতেন। প্রায়ই বলতেন, এভাবে আর কত দিন চলবে। মঠের পরিচালনা খরচ ও দেখভাল সব কিছুই তাঁর কাকা করতেন বলে তিনি জানান। তবে এসবের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তাঁর দাবি।

মঠের আরেক পূজারি রাধামাধব দাস (৭৫) বলেন, তিনি মঠের মন্দিরে পূজা করছিলেন। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে বেরিয়ে এসে দেখেন দুজন দৌড়ে ছুটে যাচ্ছে। তারা সড়কে রাখা মোটরসাইকেলে উঠে ছুরিটি (চাপাতি) মন্দিরের দিকে ছুড়ে ফেলে দেয়।

ঘটনার পরপরই পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক হুমায়ুন কবিররসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ক্রাইম সিন ইউনিট, সিআইডি ও র‌্যাবের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

রাতে দেবীগঞ্জ থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে নিহত যজ্ঞেশ্বরের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ রায় বাদী হয়ে করেছেন হত্যা মামলা। অস্ত্র ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে অন্য মামলাটির বাদী পুলিশ। দুই মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম সুজন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের বলেন, কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী গ্রুপ রয়েছে, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা যেখানেই সুযোগ পাচ্ছে সেখানেই এমন কাণ্ড করছে। ধর্মের কথা চিন্তা করে তারা এমনটা করছে বলে আমি মনে করি না। তারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে তত্পর রয়েছে।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার স্বদেশ চন্দ্র রায় বলেন, হিন্দু অধ্যুষিত এ এলাকায় এমন ঘটনায় আমরা সবাই হতবাক হয়ে গেছি। সারা দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যে নৃশংস হামলা চলছে তা জঙ্গি গোষ্ঠীরই কাজ। তাদের মাধ্যমে কেউ আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।

কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী ঘটনা ঘটিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, কারা হত্যাকারী এবং কী কারণে এমন হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারী খুঁজে বের করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, পঞ্চগড় শান্তিপ্রিয় জেলা। এখানে এমন ঘটনা এটাই প্রথম। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এবং নাশকতার চেষ্টা। দুষ্কৃতকারীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

আইএসের দায় স্বীকার : জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জঙ্গি নজরদারি সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। গতকাল রাতে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে দায় স্বীকারের এই বার্তা প্রকাশ করা হয়। সাইটের খবরে বলা হয়েছে, আইএস বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে শ্রী শ্রী সন্তগৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যার দাবি জানিয়েছে।

এর আগেও বাংলাদেশে বেশি কয়েকটি জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। সব ঘটনার ক্ষেত্রেই আইএসের দাবি প্রচার করেছে সাইন ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। তবে বরাবরই সাইটের ওই খবরের ভিত্তি নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। -কালেরকণ্ঠ

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে