শুক্রবার, ১৮ মার্চ, ২০১৬, ০৫:৫৬:৪২

একইদিনে পাশাপাশি ৫ কবর, চোখের জলে ভাসছে গ্রাম

একইদিনে পাশাপাশি ৫ কবর, চোখের জলে ভাসছে গ্রাম

মেহেরপুর : বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে নছিমনযোগে বাড়ি ফিরছিলেন যুবলীগ কর্মীরা।  পথে মুজিবনগর উপজেলার চকশ্যামনগর নামক স্থানে পিকনিকের বাসের ধাক্কায় মারা যান ছয়জন।  গুরুতর আহত হন আরো ১৩ জন।  

নিহত ছয় যুবলীগ কর্মীর মধ্যে পাঁচজনকে পাশাপাশি কবর দেয়া হয়েছে।  তাদের চির বিদায়ে চোখের জলে ভাসছে গ্রাম।  এভাবে ছয় ছয়টি তাজা প্রাণ হারানোর ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।  উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে চলছে শোকের মাতম।

শুক্রবার দুপুরে দুপুরে বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একইসঙ্গে ছয়জনের নামাজে জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নিহত ছয়জনের লাশ অ্যাম্বুলেন্স ও মাইক্রোবাসে করে মেহেরপুর সদর হাসপাতাল থেকে বাগোয়ান গ্রামে আনা হয়।  লাশগুলো পৌঁছানোর পর স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।  

এ দৃশ্য দেখে উপস্থিত কেউ-ই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।  শুধু বাগোয়ান গ্রাম নয়, আশপাশের কোনো গ্রামেই একসঙ্গে এতোগুলো লাশ দাফন করতে দেখেননি কেউ।

দুপুরে বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একইসঙ্গে ছয়জনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে অংশগ্রহণ করেন কয়েক হাজার মানুষ।  জানাজায় ঈমামতি করেন কুষ্টিয়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি মাসুদ শেখ।

পরে পাঁচজনকে বাগোয়ান পাঠানপাড়া কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়।  অন্যজনকে দাফন করা হয় বকসপাড়া কবরস্থানে।

জানাজা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ অধ্যাপক সদস্য ফরহাদ হোসেন দোদুল, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন, জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম রসুল শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ও তাদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

নিহতদের মধ্যে বাগোয়ান গ্রামের যুবলীগ কর্মী আনিসুর রহমান (৪০) ঘটনাস্থলেই মারা যান।  মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নেয়ার পর নজমুল হোসেন (৩৫), টুকু মিয়া (২৮) ও তুফান হোসেন (৩৫) আরো তিনজন মারা যান।

আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রাত সোয়া ১০টার দিকে সোহরাব (৩৫) ও সাড়ে ১০টার দিকে মিঠুন (৩০) মারা যান।  তারা সবাই যুবলীগের কর্মী ও বাগোয়ান গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
১৮ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে