বৃহস্পতিবার, ০২ জুন, ২০১৬, ০৩:৫০:৫৭

এবার এক মণ ধানে একজন শ্রমিক!

এবার এক মণ ধানে একজন শ্রমিক!

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মাঠে মাঠে এখনো পাকা ধান। শ্রমিক সংকটে অনেকে সময়মতো ধান কাটতে পারছেন না। শ্রমিক মিললেও জনপ্রতি মজুরি দিতে হচ্ছে ৪৫০ টাকা। সঙ্গে দুই বেলা খাবার। এতে গৃহস্থের খরচ পড়ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। গতকাল বুধবার বাজারে ধান বিক্রি হয় প্রতি মণ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্র জানায়, এ বছর গোয়ালন্দে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল উচ্চ ফলনশীল (উফশী) ২ হাজার ২০০ হেক্টর আর স্থানীয় জাত ২০০ হেক্টর। ১ হাজার ৭৪০ হেক্টরে চাষাবাদ হয়েছে উফশী ও ১২০ হেক্টরে স্থানীয় জাত। এ বছর বিঘাপ্রতি ২২ থেকে ৩০ মণ অর্থাৎ হেক্টরপ্রতি গড়ে সাড়ে ছয় থেকে আট মেট্রিক টন করে ধান উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় অনেকে চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।


গতকাল সাপ্তাহিক হাটের দিন গোয়ালন্দ বাজারে বিক্রির জন্য নতুনপাড়া এলাকা থেকে ধান নিয়ে আসেন ইউনুস সরদার, আবদুল বিশ্বাসসহ কয়েকজন। তাঁরা বলেন, প্রতি মণ ধান ৬০০ টাকা থেকে ৬২০ টাকায় বিক্রি করলাম। খুব ভালো হলে বাজারে মণপ্রতি ৬৫০ টাকা পাওয়া যায়। এদিকে শ্রমিক সংকটের কারণে মাঠে এখনো পাকা ধান রয়েছে। সামান্য ঝড়-বাতাসে হেলে পড়ছে ধানের গাছ। দু-একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও জনপ্রতি দিতে হয় নগদ ৪৫০ টাকা। এর সঙ্গে দুই বেলা খাওয়াতেও হয়। তাই মজুরি হিসেবে টাকার বদলে ধান দেওয়াই ভালো।


গোয়ালন্দের সোহাগ রাইস মিলের মালিক গোলাম মোস্তফা সোহাগ বলেন, ৮-১০ দিন আগে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। কৃষকের কাছ থেকে সরকারের ধান কেনা শুরু করার খবর জানতে পেরে কিছুসংখ্যক লোক ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় কিনে মজুত করছে।
উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল বলেন, সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। কৃষি দপ্তর থেকে খাদ্য বিভাগে ধান ক্রয়ের জন্য কৃষকের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী ধান কেনা হলে প্রকৃত কৃষকেরা ন্যায্যমূল্য পাবেন। আর কৃষকেরা ধান দিতে না পারলে তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।-প্রথম আলো

২জুন,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে