সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬, ০২:৩০:০৩

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন

নড়াইল : মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তকিত মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলে দায়েরকৃত মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।

সোমবার দুপুরে নড়াইল সদর আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ সমন জারি করেন। এছাড়া আগামী ২৫ আগস্ট খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। তার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়। মামলার বাদি নড়াইলের নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম জেলা (নড়াইল) আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুদ্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী ২৪ ডিসেম্বর (২০১৫) দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি মধ্যে জুডিশিয়াল তদন্তের নির্দেশ দেন।

বাদি রায়হান ফারুকী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ব্যক্তি হওয়ার শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার এ ধরণের বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে মামলাটি দায়ের করেছি।

এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইলের একটি আদালতে ২০১৫ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুপুরে আরো একটি মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবী সম্পর্কে বিতর্কিত বক্তব্যের অভিযোগে ওইদিন (২৯ ডিসেম্বর) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নামেও একটি মানহানি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দু’টি দায়ের করেন শহীদ শেখ জামাল জাতীয় স্মৃতি পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিক বিল্লাহ।

নড়াইল সদর আমলী আদালতের তৎকালীন বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ জাকারীয়্যা (বিচারক এই বানান লেখেন) মামলা দু’টির বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতাকে (ওসি) এ বছরের ১১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন।

এ মামলার বাদী শেখ আশিক বিল্লাহ বলেন, আমি মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একজন মানুষ হওয়ার শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বিতর্কিত বক্তব্য এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সম্পর্কে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যে মর্মাহত হয়ে মামলা দু’টি দায়ের করি।
২৫ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে