শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮, ০৫:৩০:১৪

সন্তানের সুন্দর চরিত্র গড়ে তুলবে নামাজ

সন্তানের সুন্দর চরিত্র গড়ে তুলবে নামাজ

ইসলাম ডেস্ক : নামাজ বেহেস্তের চাবি বা নামাজ সকল অপকর্ম থেকে দূরে রাখে। আল্লাহ তায়ালার সান্নিধ্য পেতে হলে অবশ্যই খোদার দরবারে নামাজ কবুল হতে হবে।

আল্লাহ তায়ালা তার রাসুলকে বলেন, আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাজের আদেশ দিন এবং নিজেও এর  ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিজিক চাই না। আমি আপনাকে রিজিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ। (সুরা ত্বহা আয়াতঃ১৩২)।

সন্তানকে শিশুকাল থেকে নামাজে অভ্যস্ত করা এবং নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সন্তানের মনে বদ্ধমূল করে দেওয়া পিতামাতার কর্তব্য। সন্তান যেহেতু শৈশবে পিতামাতার সান্নিধ্যেই বেশি থাকে। তাই তারাই সন্তানকে নামাজে আগ্রহী করে তুলতে পারেন। শৈশবে সন্তান পিতা মাতা ও গুরুজনদের নিকট থেকে যে শিক্ষা লাভ করে তাই তার মনে বদ্ধমূল হয়ে যায় এবং পরবর্তী জীবনের কাজকর্মে এর গভীর প্রভাব পড়ে। তাই শিশুদেরকে শৈশবকাল থেকেই নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলা উচিত।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার যেসব আমলের সওয়াব তার নিকট পৌঁছে তা হল  ইলম। যা সে শিক্ষা দিয়েছে ও প্রচার করেছে। এই সমস্ত আমলই মৃত্যুর পর তার নিকট পৌঁছবে। ( ইবনে মাজাহ)।  

১. পবিত্রতা সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়াঃ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ হয় না। তাই শিশুকে পবিত্রতা সম্পর্কে অবগত করতে হবে। অজুর নিয়ম কী কী কারণে নষ্ট হয় , অজুর ফরজ, সুন্নত মুস্তাহাব কী কী ইত্যাদি বিষয় শিশুকে শিখিয়ে দিতে হবে।

২. কুরআন কারিম শিক্ষা দেওয়াঃ নামাজে সহি শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত করা ফরজ। এছাড়া কুরআন তেলাওয়াত করা স্বতন্ত্র একটি ইবাদাতও বটে। তাই শিশুকে শুদ্ধভাবে কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য। তার পাশাপাশি কিছু সুরাও মুখস্ত করিয়ে দিতে হবে। যাতে সে নামাজে মুখস্ত কুরআন পড়তে পারে।

৩. নামাজের দোআ সমুহ শিক্ষা দেওয়াঃ  নামাজে সানা, তাশাহুদ, দরুদ শরিফ, দোয়া মাসুরা এবং অন্যান্য দোয়া ও তাসবিহ পাঠ করতে হয়। এজন্য এ দোয়াগুলো  শিখিয়ে দিতে হবে।

৪. নামাজের প্রয়োজনীয় মাসওয়ালা মাসায়েল শিক্ষা দেওয়াঃ নামাজে অনেক মাসয়ালা রয়েছে। যেমন, নামাজের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, মুস্তাহাব ইত্যাদিও পরিচিত। নামাজের নিয়ম পদ্ধতি ও নামাজের রাকাআত সংখ্যা। ফরজ, সুন্নত ও নফল নামাজের পরিচিতি। নামাজ ভঙ্গের কারণসমূহ ও সুহু সিজদার মাসায়েল, ইত্যাদি বিষয়ে তাকে শিক্ষা দিতে হবে। এছাড়া যানাজার নামাজ, দুই ঈদের নামাজের নিয়মকানুন ও মাসআলা সমুহ শিক্ষা দিতে হবে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পিতা মাতাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তোমাদের সন্তানদের বয়স যখন দশ বছর হবে তখন তাদের প্রহার করে হলেও নামাজ পাড়াও ।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে