রবিবার, ২০ মে, ২০১৮, ০৫:৫৩:৩৪

হযরত আদম (আ.) এর আমলে রোজা কেমন ছিল?

হযরত আদম (আ.) এর আমলে রোজা কেমন ছিল?

ইসলাম ডেস্ক: রোজা কেবল উম্মতে মুহাম্মদীর একক বৈশিষ্ট্য নয়, বরং পূর্ববর্তী উম্মতদের প্রতিও এই বিধান কার্যকর ছিল, যা পবিত্র কুরআনে  মহান আল্লাহ তায়ালা উল্লেখ করে বলেন, ‘ওহে তোমরা যারা ইমান এনেছ, তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। যেন তোমরা মুত্তাকী হতে পারে (সূরা বাকারা: ১৮৩)।

ঐতিহাসিক তথ্যে জানা যায়, প্রথম মানুষ ও প্রথম নবি হযরত আদম (আ.) এর যুগে থেকে হযরত ঈসা (আ.) এর যুগ পর্যন্ত রোজার প্রচলন ছিল। অবশ্য সেই রোজার ধরন ও প্রকৃতি আমাদের মতো ছিল না। সংখ্যাতেও ছিল ব্যবধান।

হযরত আদম (আ.) এর রোজা: প্রথম মানব ও নবি আদম (আ.) রোজা পালন করেছিলেন। এ ব্যাপারে ওলামায়ে উম্মত একমত পোষণ করেছেন। তবে তিনি কতদিন কিভাবে রোজা পালন করেছেন সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট দলিল প্রধান পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে যে বক্তব্যগুলো প্রচলিত আছে তার নির্ভরযোগ্যতাও প্রশ্নাতীত নয়। যেমন, মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, ‘হে আদম তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর। তবে এই গাছটার কাছেও যেও না।’ – কেউ কেউ বলতে চান তাদেরকে ওই বৃক্ষের কাছ থেকে নিভৃত রাখাটাও এক ধরনের রোজা।

কতিপয় ওলামায়ে কেরাম বলেন, হযরত আদম (আ.) এর উপর প্রতি চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের রোজা আবশ্যক। আল্লামা আহামদ বিন মুহাম্মদ নিশাপুরী উল্লেখ করেছেন, জান্নাতের নিয়ামত চলে যাবার পর আদম ও হাওয়া সুদীর্ঘকাল ক্রন্দন করেছেন। খাবার গ্রহণ করেননি, পান করেননি, এবং আদম ও হাওয়া বিচ্ছিন্ন ছিলেন। এটাও এক ধরনের রোজা পালন। এই বর্ণনার ও নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায়নি।

মুসা বিন নাসর বাগদাদী বর্ণনা করেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘আল্লাহ আমার উম্মতের উপর ৩০ দিনের রোজা পালন ফরজ করে দিয়েছেন। অন্যান্য জাতির উপরও কম বেশি করে রোজা ফরজ করেছেন। কারণ, আদম (আ.) গাছ থেকে যখন ফল খান, তা তার পেটে ৩০ দিন অবশিষ্ট ছিল। যখন তার তওবা কবুল করলেন, তখন বলে দিলেন ৩০ দিন-রাত্র রোজা রাখবে। আমার উম্মতের বেলায় দিনের বেলায় রোজা ফরজ, রাতের খানাপিনা আল্লাহ অনুগ্রহকরে ক্ষমা করেছেন।’
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে