রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩১:১৫

বিতরের সালাতের ফজীলত

বিতরের সালাতের ফজীলত

ইসলাম ডেস্ক:  রাতের আমলগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বিতরের সালাত। খারেজা ইব্‌ন হুযাফাতুল আদাভি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন:


«إن الله تعالى قد أمدكم بصلاة وهي خير لكم من حُمرِ النَّعم، وهي الوِتر، وجعلها لكم فيما بين العشاء إلى طلوع الفجر».

“নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে একটি সালাত দ্বারা সাহায্য করেছেন, যা তোমাদের জন্য লাল উটের চেয়েও উত্তম, আর তা হচ্ছে বিতর, তিনি তা নির্ধারণ করেছেন এশা থেকে ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত”।[আবু দাউদ: (১৪১৮), সুনানে তিরমিযি: (৪৫২)]

বিতরের সালাতের ফযিলত ও সুন্নতে মুয়াক্কাদা হওয়ার আরো দলিল: আলি ইব্‌ন আবু তালেব রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিস, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিতর পড়েছেন, অতঃপর বলেছেন:
«يا أهل القرآن أوتروا فإن الله تعالى وتر يحب الوتر».
“হে আহলে কুরআন তোমরা বিতর পড়, কারণ আল্লাহ বিতর (বেজোড়), তিনি বিতর পছন্দ করেন”।[তিরমিযি: (৪৫৩), আবু দাউদ: (১৪১৬)]

আমি শায়খ আব্দুল আযিয ইব্‌ন বায রহ.-কে এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলতে শুনেছি: “এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, আলেমগণ অন্যদের তুলনায় বিতর সালাতের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদান করবেন, যদিও বিতর সবার জন্য সুন্নত, যেন তাদের অনুসারীরা তাদের অনুসরণ করে, যারা তাদের আমল ও অবস্থার খবর রাখে। বিতর এশা ও ফজরের মধ্যবর্তী সময়ে সর্বনিম্ন এক রাকাত। আল্লাহ বিতর (বেজোড়), তিনি বিতর পছন্দ করেন। তার সিফাতের সাথে সামঞ্জস্য তিনি পছন্দ করেন। তিনি ধৈর্যশীল, তাই ধৈর্যধারণকারীদের পছন্দ করেন, তবে ইজ্জত ও বড়ত্বের ক্ষেত্রে নয়। বান্দাগণ আল্লাহর সেসব সিফাত গ্রহণ করবে, যা তাদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যেমন ইহসান, অনুগ্রহ ও দয়া ইত্যাদি”। (বুলুগুল মারামের: (৪০৫)নং হাদিস)
৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে