বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:২৩:৩১

কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে কুরবানি দিতেই হবে?

কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে কুরবানি দিতেই হবে?

ইসলাম ডেস্ক: অনেক ইবাদতের জন্যই সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড রয়েছে। যেমন সম্পদহীন ব্যক্তি চাইলে হজ আদায় করতে পারবে না। আবার সম্পদশালী ব্যক্তির শারীরিক সক্ষমতা না থাকলেও হজ করতে পারবে না। জাকাত আদায়ে রয়েছে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা।
কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে কুরবানি দিতেই হবে?

কিন্তু কুরবানির মতো আত্মত্যাগের মহান ইবাদত কার কার জন্য প্রযোজ্য? কী পরিমাণ সম্পদ হলে কুরবানি আবশ্যক হয়? এ বিষয়ে রয়েছে সুস্পষ্ট বর্ণনা।

জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ কুরবানি আদায় করতে হয়। এ দিনগুলোতে যারা নিত্য প্রয়োজনীয় সাংসারিক খরচ ছাড়া অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকবে তাদের ওপর কুরবানি আদায় করা আবশ্যক।

এ নিসাব পরিমাণ সম্পদ হলো- সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা এর সমমূল্য কিংবা সাড়ে ৫২ তোলা রূপা কিংবা তার সমমূল্যের সম্পদ থাকা। তবে কুরবানি আবশ্যক হতে এ পরিমাণ সম্পদ পূর্ণ ১ বছর থাকা শর্ত নয়।

কুরবানি আদায় সম্পর্কে যা জানা জরুরি
- যে ব্যক্তি ১০ জিলহজ ফজর হতে ১২ জিলহজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে উল্লেখিত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকবে, ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানি আদায় করা আবশ্যক।

- পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য যে পরিমাণ জমি বা ফসলের (খাদ্য-শস্য) দরকার; সে পরিমাণ থেকে অতিরিক্ত জমি বা ফসলের মূল্য অথবা যে কোনো একটির মূল্য যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মূল্যের সমান হয়। তাহলেও ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানি করা আবশ্যক।

আরও পড়ুন > জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিন যা থেকে বিরত থাকবেন

- পরিবারের সব সদস্যের যদি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকানা থাকে তবে সবার ওপরই কুরবানি করা আবশ্যক।

- গরিব ব্যক্তি যদি কুরবানির নিয়তে কুরবানির পশু ক্রয় করে তবে ওই ব্যক্তির ওপর কুরবানি সম্পন্ন করা আবশ্যক।

- কোনো ব্যক্তি স্বচ্ছল হোক অস্বচ্ছল হোক কুরবানির মান্নত করলে তা আদায় করাও আবশ্যক।

- কোনো ব্যক্তি যত বেশি সম্পদের মালিক হোক না কেন, তার জন্য একটি কুরবানিই আবশ্যক। সম্পদ বেশি বলে একাধিক কুরবানি আদায়ের কোনো বিধান নেই। তবে একাধিক কুরবানিতে রয়েছে অধিক সাওয়াব।

সর্বোপরি, যাদের ওপর ফিতরা দেয়া আবশ্যক; তাদের জন্য কুরবানি আদায় করাও আবশ্যক। অতএব প্রত্যেক স্বাধীন, প্রাপ্ত বয়স্ক, নিসাব পরিমাণ সম্পদে মালিক, সুস্থ নারী-পুরুষের জন্য কুরবানি আদায় করা আবশ্যক।

সুতরাং সাংসারিক খরচ মেটানের পর জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখে অতিরিক্ত নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলেই কুরবানি করা আবশ্যক হবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকদেরকে যথাযথভাবে কুরবানি আদায় করার মাধ্যমে তার নৈকট্য অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে