সোমবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:৩৭:৩৫

সৈয়দ আশরাফের সেই চমকের কথা প্রকাশ করলেন ওবায়দুল কাদের

সৈয়দ আশরাফের সেই চমকের কথা প্রকাশ করলেন ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলের ২০তম সম্মেলনের আগ মুহূর্তে যে চমকের কথা বলেছিলেন সেই চমকই হচ্ছেন ওবায়দুল কাদের।

সোমবার রাজধানীর প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের নিজেই এ কথা জানান।

এর আগে ২১ অক্টোবর সাংবাদিকদের সামনে সৈয়দ আশরাফ বলেছিলেন, “দলের আগামীকালের ২০ তম সম্মেলনে চমক থাকছে। তবে সেই চমকটা কী সে সম্পর্কে জানি আমি আর নেত্রী। সেটা আর কেউ জানে না।”

মতবিনিময় সভায় সৈয়দ আশরাফের ওই বক্তব্যের পর সারাদেশের আওয়ামী লীগ সমর্থকসহ জনগণের মধ্যে চমক নিয়ে যে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছিল তার অবসান হয় ওবায়দুল কাদেরকে দলের সাধারণ সম্পাদক বানানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে।

এদিকে, মতবিনিময় সভায় সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ সম্পর্কে নতুন সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আশরাফুল ইসলামের মুখে আমি কোনো হতাশা দেখিনি। এমনকি গত কয়েক বছরের মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে যেমন হাস্যোজ্জ্বল দেখেছি তার থেকেও বেশি হাস্যোজ্জ্বল দেখেছি আমি সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাদের চরিত্র।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সম্মেলনের আগে সৈয়দ আশরাফুল বলেছে নেতৃত্বে চমক থাকবে। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করা হচ্ছে সেই চমক।’

কাদের বলেন, ‘আগে আমি সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী হিসেবে রাস্তায় গিয়ে উন্ননের কাজ দেখতাম। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ শুনতাম। কিন্তু অভিযোগ সমাধান করতে পারতাম না। কারণ সমাধান দেয়ার মতো আমার অথরিটি ছিল না। এখন আমি তাদের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান দেব। প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীসহ যাদের প্রয়োজন তাদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবো।’

নতুন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নতুন কমিটি নিয়ে শক্তিশালী টিমওয়ার্ক গড়ে তুলবো। তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত জনসংযোগ গড়ে তুলবো। এখন থেকে আমরা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নেব।’

দায়িত্বলাভের পর এটিই ছিল তার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। এ সময় তাকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত করার জন্য দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের সব কাউন্সিলরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে তার নাম প্রস্তাব করায় সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ৮১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে এখনো ৫৮ টি পদ খালি রয়েছে। দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে আালোচনা করে দল পরিচালনার জন্য তাদের নির্বাচন  করা হবে। এটা করতে এক সপ্তাহের মতো সময় তো লাগবেই।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আজ-কালের মধ্যে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর নেতাদের নাম, ৩-৪ দিনের মধ্যে সদস্যদের নাম প্রেস রিলিজ করে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এ কাজে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ সময়ও লাগতে পারে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক কার্যনিবর্হী সদস্য সুজিত রায় নন্দী, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।
২৪ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে