শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০১:৫৭:১৯

হঠাৎ মোটরসাইকেল চালিয়ে আড্ডাস্থলে হাজির মন্ত্রী

হঠাৎ মোটরসাইকেল চালিয়ে আড্ডাস্থলে হাজির মন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : তিনি বিস্তৃত জলরাশি আর ঢেউয়ের খেলায় দিগন্ত জোড়া সবুজের আলপনা মেশানো চলনবিলেন মানুষ, তাই মনে প্রাণেও চলনবিলের বিস্তৃত জলরাশির মতো তার হৃদয়টাও বিস্তৃত।  তাই তো তিনি আর আট-দশজন মন্ত্রীর মতোই সব সময় প্রটোকলের মধ্য থাকতে পারেন না।  প্রটোকলের ভেঙে ছুটে যান মানুষের মাঝে! আমি তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কথা বলছি।

বৃহস্পতিবারের ঘটনা! মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠ! সন্ধ্যার পর বিভিন্ন গ্রুপের ছাত্র-যুবরা বসে প্রতিদিনের মতোই সেদিনও আড্ডা দিচ্ছিলেন।  এসময় তাদের আড্ডাস্থলে সামনে একটা মোটরসাইকেল এসে থামলো।  অন্ধকারে প্রথমে কেউ তাকে ভালোমতো চিনতেও পারেননি।  কিন্তু হঠাৎ কাছে এসেই তারা দেখলেন তাদের সামনে স্বয়ং মন্ত্রী।  আচমকা তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে দেখে উপস্থিতি সকলেই চমকেই যান।  

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ বিজয় মেলা মাঠে লানিং অ্যান্ড আর্নিং মেলার প্রধান অতিথি ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।  অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে প্রটোকল ভেঙে মন্ত্রীর গাড়ি থামে সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ গেটে।  গাড়ি থেকে নেমে মন্ত্রী জোবায়ের নামে এক কলেজ ছাত্রের মোটরসাইকেল নেন।  

এরপর তাকে পেছনে বসিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক মোটরসাইকেল চালিয়ে মাঠে আড্ডারত যুবকদের কাছে যান।  মোটরসাইকেল নিয়ে মাঠে মন্ত্রীর হঠাৎ উপস্থিতি সবাইকে চমকে দেয়।  এসময় যুবকদের সঙ্গে তিনি আড্ডা দেন।  গল্প করেন, তাদের গল্প শোনেন।  মানিকগঞ্জের ইন্টারনেট গতি, ফেসবুক চালানো, ইন্টারনেট প্যাকেজসহ তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেন। যুবকরাও সাবলীলভাবে জেলায় ইন্টারনেট গতি কম থাকাসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন।  মন্ত্রীও আশ্বাস দেন সমস্য সমাধানের।

যাওয়ার সময় মন্ত্রী কলেজছাত্র জোবায়ের সঙ্গে হাসি ঠাট্টার সময় বলেন, আমার গাড়ি ভালো লাগে না। তোমার মোটরসাইকেলের সাথে গাড়ি বদল করি। আমি মোটরসাইকেল নেই, তুমি গাড়ি নাও। এসময় মন্ত্রী জোবায়ের হোসেনের মোবাইল নম্বর নিজের ফোনে সেভ করে তার নম্বর দিয়ে যান।

২ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে