রবিবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৭, ০৯:১৮:৪২

চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে, ৭ খুনের ফাঁসির আসামী তারেক সাঈদের ঘুষের টাকা মালয়েশিয়ায় পাচার

চাঞ্চল্যকর তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে, ৭ খুনের ফাঁসির আসামী তারেক সাঈদের ঘুষের টাকা মালয়েশিয়ায় পাচার

নিউজ ডেস্ক : শুধু গুম-খুন নয়, নারায়ণগঞ্জে র‌্যাব ১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। র‌্যাবে কর্মরত থাকার সময় ক্ষমতার চরম অপব্যবহারের মাধ্যমে দু’হাতে তিনি কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা কামানোর এসব নিষ্ঠুর পথ বেছে নেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা অবৈধ পথে অর্জিত এসব অর্থের একটি বড় অংশ বিদেশেও পাচার করেন।
 
সাত খুনের অভিযোগে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় প্রথমদিকে অন্তত সাড়ে ৬ কোটি টাকা দেশের বাইরে সরিয়ে নেয়া হয়। তিনি কারাগারে আটক থাকায় অবৈধ টাকা পাচারে মূল ভূমিকা পালন করেন তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ তিন ব্যক্তি। এরা হলেন জনৈক রিয়া, রনি ও হেমা। রাজনৈতিক ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তারা বিশেষ সুবিধায় নির্বিঘ্নে মালয়েশিয়ায় টাকা পাচার করতে সক্ষম হন।
 
সূত্র জানায়, সাত খুনের ঘটনার পর র‌্যাব কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, মেজর (বরখাস্তকৃত) আরিফ ও লে. কমান্ডার (বরখাস্তকৃত) এমএম রানা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি চালানো হয়। পরিবারের সদস্য ছাড়াও তাদের ঘনিষ্ঠ লোকজনের মোবাইল ফোনে আড়ি পাতেন গোয়েন্দারা। একপর্যায়ে রিয়া, রনি ও হেমার মোবাইল ফোনালাপে বিপুল অংকের অর্থ পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে।
 
চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনার পর নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহিদ চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে অভিযোগ করেন, ছয় কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে সাতজনকে অপহরণ ও খুন করা হয়েছে। অবশ্য কখন ও কোথায় এ টাকা লেনদেন হয় সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি তিনি। তবে রিয়ার ফোনালাপের সূত্র ধরে গোয়েন্দা সংস্থা অনুসন্ধানে নামার পর জানতে পারে সাত খুনের আগে নেয়া টাকাই মালয়েশিয়ায় পাচার করা হয়।
 
সূত্র জানায়, চূড়ান্তভাবে বিদেশে পাচারের আগে রিয়া কয়েক দফা টাকাগুলো গুলশান এলাকায় তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে তিনি তার ভাবী হেমার কাছে টাকাগুলো জমা রাখেন। তবে পাচারের আগে টাকাগুলো যথাযথভাবে গচ্ছিত রাখার জন্য হেমাকে তিনি বলেন, ‘এগুলো তোমার তারেক ভাইয়ের আমানত। আমাদের এই বিপদের দিনে টাকাগুলো ঠিকমতো রাইখো।’ যথাযথভাবে সেই আমানত গচ্ছিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন হেমা।
 
সূত্র জানায়, ফোনালাপের সময় সাবধানতার অংশ হিসেবে তারা দু’জনে অনেকটা সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করেন। যেমন এক কোটি ষাট লাখ টাকাকে তারা বলেন, ‘এক ষাট’। পঞ্চাশ লাখ টাকাকে বলেন, ‘পঞ্চাশ টাকা’। -যুগান্তর।
২২ জানুয়ারী, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে