নিউজ ডেস্ক : সার্চ কমিটির জন্য রাষ্ট্রপতিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বিচারপতি কেএম হাসানের নাম দেওয়া হয়েছে- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘গ্রন্থ আড্ডা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার।
ওবায়দুল কাদেরকে তার বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমার প্রশ্ন তাহলে কি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগ বা ওবায়দুল কাদের সাহেবের গোপন যোগসাজশ আছে?
মির্জা ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যে আলোচনায় যাচ্ছে (রাষ্ট্রপতির সঙ্গে) এবং যেসব কথা বলছে- সেগুলো তাদের (আওয়ামী লীগ) সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রপতি কি সার্চ কমিটি করবেন? তাহলে এমন সার্চ কমিটির প্রয়োজন নেই। এই ধরনের সার্চ কমিটি জনগণ মেনে নেবে না। যদি আবার আওয়ামী লীগের বশংবদ সার্চ কমিটি বা নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় তাহলে জনগণ মেনে নেবে না।
দেশে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে এমন অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, আক্রমণ নেমে এসেছে জাতীয়তাবাদী দর্শনের ওপর, বাংলাদেশের কৃষ্টি ও স্বকীয়তার ওপর। প্রকাশকরা বলেছেন, তাদেরকে বই ছাপাতে দেয়া হয় না। জাতীয়তাবাদের ওপর লেখকদের কোনো বই থাকলে তা ছাপতে দেয়া হয় না। বরং ভয় দেখানো হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৬০-এর দশকে ররীন্দ্রনাথের কথা বলা ছিলো পাপ। আমরা পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান করতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুমতি চেয়েছিলাম। প্রথমে অনুমতি দিলেও একদিন আগে অনুষ্ঠান বাতিল করে দেয়া হয় বিজাতীয় অনুষ্ঠানের কথা বলে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, একইভাবে এখন একুশে বই মেলায় আওয়ামী লীগের চিন্তা ও মতের বাইরে কোনো কিছু থাকলে তা হয়ে যায় দেশ বিরোধী, সেটা প্রকাশ করা যাবে না। তাহলে পার্থক্যটা কোথায়? পাকিস্তানী হানাদারদের সঙ্গে এদের (আওয়ামী লীগ) পার্থক্য কোথায়? তারাও কথা বলতে দিত না, এরাও বলতে দেয় না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে আড্ডায় আরো অংশ নেন ড. সুকমল বড়ুয়া, এরশাদ মজুমদার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শফিউল বারী বাবু, রাজিব আহসান প্রমুখ।
২২ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস