শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ০২:০৫:৩২

দোষারোপ না করে, সমঝোতা রেখেই চলতে হয় : প্রধানমন্ত্রী

দোষারোপ না করে, সমঝোতা রেখেই চলতে হয় : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : রাষ্ট্র পরিচালনার ৩টা স্তম্ভের মধ্যে সমঝোতা নিয়েই চলতে হবে, কাজ করতে হবে। একটি আরেকটিকে দোষারোপ করে কোনোদিন একটা রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পারস্পরিক দোষারোপের পথে না হেঁটে সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগকে সমঝোতার মাধ্যমে আরও সচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ আইন প্রণয়ন করে, তা প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ। আর তা কার্যকর করার দায়িত্ব নির্বাহী বিভাগের। ক্ষমতা কোনো বিভাগেরই কম নয়। কিন্তু কেউ এককভাবে চলতে পারে না। সবাই মিলে সমঝোতা রেখেই চলতে হয়।

তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন যে, না, এখানে আমার ক্ষমতা, আমিই সবটুকু প্রয়োগ করে ফেলব কিন্তু সেই প্রয়োগটা করবে কে? তার জন্য তো কাউকে লাগবে। কাজেই এ কথাটা কেউ যেন ভুলে না যায় সেজন্য তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি দেশের মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করার পাশাপাশি বিচার বিভাগের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পরপরই জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে ফৌজদারি কার্যবিধির সংস্কার এবং বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে অধস্তন আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জন্য আলাদা বেতন কাঠামো করা, উচ্চ আদালতের বিচারকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, আবাসনের ব্যবস্থা করা, প্রতিটি জেলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন নির্মাণ শুরুর কথা প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় যা যা করণীয়, আমরা করে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু আইন করে আর অবকাঠামো সুবিধা বৃদ্ধি করে বিচারপ্রার্থী মানুষের ভোগান্তি কমানো সম্ভব নয়। বিচারক এবং আইনজীবীদের আরও মানবিক এবং জনগণের প্রতি সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। দেশের প্রতিটি নাগরিকের আইনগত সহায়তা লাভের অধিকার রয়েছে এবং বর্তমান সরকার একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আধুনিক বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থের অভাবে কেউ আইনি সহায়তা পাবে না, বিচার পাবে না; এটা তো হতে পারে না। ১৯৭৫ এ এক ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে পিতাসহ পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে হারানো এবং পরবর্তীতে হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বিচার না পাওয়ার যন্ত্রণাটা যে কী; আমাদের থেকে ভালো কেউ জানে না।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক এবং লিগ্যাল এইড সার্ভিসের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
২৯ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে