শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭, ০১:৪৮:৫০

রাজনীতি এখন গ্রামগঞ্জে

রাজনীতি এখন গ্রামগঞ্জে

মাহমুদ আজহার ও রফিকুল ইসলাম রনি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর বাকি থাকলেও তৃণমূলে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সামনে ঈদ। তাই রাজনীতি এখন ঈদমুখী। সব দলের নেতারা এখন ব্যস্ত নিজ নিজ সংসদীয় এলাকা নিয়ে।

তারা ইফতার মাহফিল করছেন; শাড়ি-কাপড়, পাঞ্জাবি-পায়জামাসহ নানা উপহারসামগ্রী নিয়ে ঢাকা ছেড়ে সবাই এখন গ্রাম-গঞ্জমুখী। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এখন ঘুম হারাম। নির্বাচনী মাঠ গোছাতে ব্যস্ত সবাই।

প্রধান দুই দলের সিনিয়র নেতারা ঢাকায় থাকলেও অনেকেই ঈদের পর দলীয় প্রধানের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে ছুটে যাবেন নিজ নিজ সংসদীয় এলাকায়। উদ্দেশ্য, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণের সঙ্গে কুশল বিনিময়। এরই মধ্যে অনেক এলাকায় শুরু হয়ে গেছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের শোডাউন-পাল্টা শোডাউন।

আওয়ামী লীগ : গ্রাম-গঞ্জের মানুষের কাছে যাওয়ার মোক্ষম সময় হিসেবে ঈদকেই বেছে নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতারা। সংসদে বাজেট অধিবেশন থাকায় পুরো রমজান মাসে এলাকায় যেতে না পারলেও ঈদে অধিকাংশ এমপি এলাকায় থাকছেন। কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে সাবেক ছাত্রনেতা, উঠতি নেতারা এখন গ্রামমুখী।

তাদের লক্ষ্য, সংসদ নির্বাচনে এলাকাবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। ঈদে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে কাপড় বিতরণ, বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ক্লাবে অনুদানের মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থিতা জানান দিচ্ছেন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আবার যারা এলাকায় ঈদ করতে পারছেন না তারা ইতিপূর্বে নিজ নিজ এলাকা ঘুরে এসেছেন। তবে নাড়ির টানে নয়, এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বর্তমান এমপিরা ‘ভোটের টানে’ গ্রামে যাচ্ছেন।

দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি চষে বেড়াবেন নির্বাচনী এলাকা। ঝটিকা সফরে বের হবেন এমপিদের কেউ কেউ। এ ছাড়াও ঈদে নিজ নিজ এলাকায় পোস্টার, বিলবোর্ড, ফেস্টুনে সয়লাব করেছেন নেতারা। গ্রামের মাঠে-ঘাটে কিংবা চা-স্টলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কে হচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। ‘অমুক ভাই’ আজ এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। অমুক ভাই এগিয়ে রয়েছেন ইত্যাদি নানা আলোচনা।

জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে অধিকাংশ নেতাই এখন এলাকায়। আবার কেউ কেউ ঘুরে এসেছেন। আগামী নির্বাচনে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তারাই সবচেয়ে বেশি এলাকায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলেও জানান কেউ কেউ। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গণভবনেই ঈদ উদযাপন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের দিন সকালে গণভবনে রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিকসহ দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নির্বাচনী এলাকা ভোলায়, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ঝালকাঠিতে, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত তার নির্বাচনী এলাকা সিলেটে ঈদ করবেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ইতিমধ্যে নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জ ঘুরে এসেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, কাজী জাফরউল্লাহ এবং কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন বলে জানা গেছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রামে ঈদ করবেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ঈদ করবেন সিলেটে।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ ঈদ করবেন নিজ এলাকা কুষ্টিয়ায়। জাহাঙ্গীর কবির নানকের নির্বাচনী এলাকা ঢাকা হওয়ায় তিনি ঢাকাতেই ঈদ করবেন। আর বাকি দুই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে চাঁদপুরে যাবেন এবং আবদুর রহমান ফরিদপুরের মধুখালীতে নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ করবেন।

দলের সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মাদারীপুরে, এ কে এম এনামুল হক শামীম ঢাকায় ঈদ করবেন। আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার নিজ এলাকা শরীয়তপুরের সখিপুর ও নড়িয়া থাকবেন এনামুল হক শামীম। এ দুই দিন এলাকায় গরিব-দুঃখীদের মধ্যে কাপড় বিতরণ করাসহ নানা রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি। আরেক সাংগঠনিক সম্পাদকের মধ্যে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুরে নিজ এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন।

এ ছাড়া আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন জয়পুরহাটে। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম নিজ নির্বাচনী এলাকা দিনাজপুরে ঈদ করবেন। সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল ও তার স্ত্রী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল ঈদের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে চলে যাবেন নিজ এলাকা নেত্রকোনায়। রমজান শুরু থেকেই তারা স্বামী-স্ত্রী নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত গেছেন এবং কাপড় বিতরণ করেছেন। সেখানে এলাকার মানুষের সঙ্গে ঈদ করবেন তারা।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ঈদের দিন মুন্সীগঞ্জে থাকবেন। দলের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন চট্টগ্রামে চলে গেছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে নির্বাচনী এলাকায় আছেন নোয়াখালী-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আমিরুল ইসলাম আমির।

গতকাল সন্ধ্যায় তিনি জানালেন, গত কয়েক দিন এলাকায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। গতকালও জেলার হাতিয়ার বুটিচর ইউনিয়নে একটি ইফতার পার্টিতে অংশ নেন বলেও জানান তিনি। গত সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ৪০ হাজার ভোট পান আমির।  

বিএনপি : বিএনপি নেতাদের বড় অংশই ঈদে বাড়ি যাচ্ছে। নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন তারা। তবে বরাবরের মতো এবারও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ঈদের দিন ১২টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত কূটনীতিকদের সঙ্গে, এরপর বিশিষ্ট নাগরিক এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করবেন। পরে বনানী কবরস্থানে ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কবরও জিয়ারত করবেন। এরপর বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। বিগত কয়েক বছরে স্ত্রী ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে ইংল্যান্ডে  ঈদ উদযাপন করেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তবে এবার প্রয়াত ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তার দুই মেয়ে তারেক রহমানের পরিবারের সঙ্গেই ঈদ উদযাপন করবেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ের সঙ্গে ঈদ করবেন। বিএনপির সিনিয়র, মাঝারি ও অঙ্গ-সংগঠনের অনেক নেতাই এবারও নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর যারা ঢাকায় ঈদ করবেন তাদের অনেকেই ইতিমধ্যে প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচনী এলাকার গরিব ও দুস্থদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, চিনি-সেমাই বিতরণ করছেন।

দলীয় সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম যশোরে, ড. আবদুল মঈন খান নরসিংদী ও  আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে ঈদ করবেন। সেখানে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। চলমান রাজনীতিসহ আগামী নির্বাচন নিয়েও কথাবার্তা বলবেন। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঈদের দিন সকালে তার নির্বাচনী এলাকা কেরানীগঞ্জে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করে ঢাকায় চেয়ারপারসনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ঢাকায় ঈদ করে পরদিন নোয়াখালী নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ার কথা রয়েছে।

জানা যায়, চট্টগ্রামে নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা গোলাম আকবর খন্দকার, মাহবুবুর রহমান শামীম, কাদের গনি চৌধুরী।  নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীতে ঈদ করবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা শওকত মাহমুদ কুমিল্লায়, মজিবর রহমান সরোয়ার বরিশালে, হারুনুর রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ, খায়রুল কবির খোকন নরসিংদীতে, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহ, শামা ওবায়েদ ফরিদপুরে, ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন সিলেটে, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল নেত্রকোনায়, শফিউল বারী বাবু লক্ষ্মীপুর, তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোরের লালপুরে, আমিরুল ইসলাম খান আলীম সিরাজগঞ্জ, মাহবুবুল হাসান ভূইয়া ফরিদপুরে, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত যশোরে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদ করবেন।

বিএনপির সাবেক এমপি ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহেনা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা ও শাম্মী আক্তারেরও নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপনের কথা রয়েছে।

বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা হাসান মামুন, অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার, আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল রাজশাহী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, আবদুল মতিন, জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, শাম্মী আক্তার, এম আমিনুল ইসলাম, আবদুল আউয়াল খান, মোস্তফা খান সফরী, শহীদুল্লাহ ইমরান ও বিল্লাল হোসেন তারেক নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করবেন।

এদের অনেকেই ইতিমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। জানা যায়, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান ঢাকায় ঈদ করবেন।

এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ঢাকায় ঈদ করবেন এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, সেলিমা রহমান, উপদেষ্টা ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, এনাম আহমেদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব  হোসেন, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ ঢাকায় ঈদ উদযাপন করবেন। যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ অনেকেই ঢাকায় ঈদ করবেন।

কারাগারে ঈদ করবেন অনেক নেতা : বিগত বছরের তুলনায় এবার কারাগারে ঈদ করা বিএনপির নেতাদের সংখ্যা কিছুটা কম। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর বেশ কয়েক বছর ধরেই কারাবন্দীদের সঙ্গে ঈদ করছেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুসহ তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী এবার কারাগারে ঈদ করবেন। বিডি প্রতিদিন

জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে