বুধবার, ২৩ আগস্ট, ২০১৭, ০৯:৫৭:৪৪

চীন-ভারত দ্বন্দ্বে ভুগতে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

চীন-ভারত দ্বন্দ্বে ভুগতে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

আশীষ বিশ্বাস, কলকাতা: চীন-ভারত-ভুটান সীমান্তের বিরোধপূর্ণ দোকলাম অঞ্চল নিয়ে এশিয়ার দুই ক্ষমতাধর দেশের মধ্যে চলছে তীব্র উত্তেজনা। চীন ও ভারতের মধ্যকার এমন উত্তেজনার কারণে চীন আন্তঃনদী প্রবাহ নিয়ে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাগাভাগি বন্ধ করে দিয়েছে বেইজিং। ব্রক্ষ্মপুত্রের উজান থেকে আসা পানিও ছেড়ে দিচ্ছে তারা। এটা ভারতের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের জন্যও ক্ষতিকর। এছাড়া এমন পদক্ষেপ ২০১৩ সালে নদীর পানি বিষয়ক চীন-ভারত তথ্য ভাগাভাগি সংক্রান্ত চুক্তির বিপরীত।

এসব কিছুর মূলে কাজ করছে দোকলাম সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রতি চীনের ক্ষোভ। ওই সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতীয় সেনাদের প্রত্যাহারের দাবি করেছে চীন। তবে এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দিল্লি।

সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বন্যা দেখা দিয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ উজান থেকে আসা ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করে। বিশেষ করে তাদের উদ্বেগের জায়গাটা ছিল উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল, বিহারের উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকা, পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের বন্যাদুর্গত এলাকা নিয়ে। বিহার রাজ্যে এরইমধ্যে নিহতের সংখ্যা ২৫০ অতিক্রম করেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও আসামে এরইমধ্যে অন্তত ১৫০ জন করে নিহত হয়েছেন। গবাদি পশু, ফসল, রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

২০১৩ সালের চীন-ভারত চুক্তি সত্ত্বেও বেইজিং সম্প্রতি যেসব বাঁধ ও জলাধার তৈরি করেছে তার সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে ভারতকে বিশদ জানানো হয়নি। এ ধরনের তথ্য ভারত ও বাংলাদেশের মতো ভাটির নদীগুলোকে আগাম বন্যার জন্য প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। কিন্তু সে তথ্য আগেভাগে না জানালে নিম্নাঞ্চলের দেশগুলোকে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়।

কলকাতাভিত্তিক টিভি চ্যানেলগুলোতে দিনের পর দিন দেখানো হচ্ছে, মেদিনীপুর থেকে কোচবিহার পর্যন্ত কয়েক হাজার পানিবন্দি মানুষকে আক্ষরিক অর্থেই খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের ত্রাণবহরে ক্ষুধার্ত, উত্তেজিত জনতা কর্তৃক হামলা চালিয়ে লুটপাটের বহু দৃষ্টান্ত আছে। জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে এটা আরও বেশি ঘটেছে। প্রায় প্রতিদিনই খবর আসছে কিভাবে পুরনো ব্রিজগুলো ভেঙে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে স্বাভাবিক রেল চলাচলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।-বাংলা ট্রিবিউন
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে