নিউজ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের নেত্রী অং সাং সুচি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় গণতন্ত্রের জন্যে সংগ্রাম করেছেন। তবে এখনো সামরিক বাহিনী সেখানে সর্বেসর্বা। তার জনগণ রোহিঙ্গাদের নির্যাতন বন্ধে তিনি কতটুকু করতে পারবেন, আমি জানিনা। কিন্তু তিনি অবশ্যই বুঝবেন এই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশ মিয়ানমার। এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। রোহিঙ্গারা তার জনগণ এ বিষয়টি সুচিকে স্বীকার করতেই হবে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ গরিব হতে পারে কিন্তু রোহিঙ্গাদের পাশে মানবিকভাবেই তার দেশ দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশি। লাখ লাখ মানুষ সেখান থেকে উচ্ছেদ হয়ে আমাদের দেশে আসছে। আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমাদের যা কিছু করা সম্ভব তাই করছি। যদি কেউ মনে করে এটা গুরুতর মানবিক সমস্যা। তাহলে তারা আমাদের পাশে আসতে পারে। যদি কেউ মনে না করে এই মানুষগুলো কি অসহায় অবস্থায় জীবন যাপন করছে। এই মানুষগুলো তাদের পাশে মানবিক হাত চাই। এটা যদি কেউ বুঝতে না পারে তাহলে বলার কিছুই নেই।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ ধনী দেশ না। আমাদেরই এখন ১৬ কোটি মানুষ। কিন্তু আমাদের দেশের আয়তন খুব কম। এরপরেও আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়ানোর পাশাপাশি নয় থেকে ১০ লাখ অসহায় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে খাবার ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। যদি ১৬ কোটি মানুষকে আমরা খাওয়াতে পারি তো কয়েক লাখ মানুষকে আমরা খাওয়াতে পারব। আমরা, আমাদের দেশের সব মানুষ ইতিমধ্যেই তা করছে। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থা তা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন যা করা দরকার, আন্তর্জাতিক বিশ্বকে মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ করে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
এদিকে রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবহিত করেছেন বলে জানান প্রানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার জাতিসংঘের সংস্কার বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষে দুই রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে এ কথোপকথন হয়। পরে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প জানতে চেয়েছেন বাংলাদেশ কেমন আছে? উত্তরে প্রধানমন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের রাখাইন থেকে আসা রোহিঙ্গা সমস্যা ছাড়া বাংলাদেশ সবদিক থেকে ভালো আছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস