রবিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৭, ০১:৪৮:১৪

অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ

অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ

মিজান চৌধুরী : মানবিক আশ্রয়ে থাকা প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে অপ্রত্যাশিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ মেয়াদে তারা অবস্থান করলে অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, এটি মোকাবেলা করাই হবে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ২৫ আগস্ট রাখাইনে তল্লাশিচৌকিতে হামলার অজুহাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেখানে গণহত্যা ও নির্যাতন চালায়।

প্রাণ বাঁচাতে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান। এর আগে পুরনো রোহিঙ্গা রয়েছে প্রায় ৪ লাখ। সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, নতুন রোহিঙ্গারা এ পর্যন্ত ৪৫০০ একর বনভূমিতে বসতি গড়ে তুলেছে। প্রতিদিন জ্বালানি সংকট মেটাতে গাছ পুড়ছে ৫০০ টন। গত ৪৫ দিনে বনজসম্পদের ক্ষতি হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। বাড়তি খাদ্যের চাপে স্থানীয় বাজারগুলোতে দ্বিগুণ হারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। বেড়েছে পরিবহন ভাড়াও।

জাতিসংঘ ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুনভাবে ব্যয়ের বাজেট প্রণয়ন করেছে। আগামী ছয় মাসের জন্য সংস্থাটি ৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে। যা আগামী ২৩ অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় জেনেভা সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।

এদিকে রোহিঙ্গাদের কারণে অর্থনীতির চাপ স্বীকার করেছেন খোদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। যুক্তরাষ্ট্র সফররত অর্থমন্ত্রী সেখানে সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে তাদের। এতে দেশের অর্থনীতির ওপর চাপ বাড়ছে। পুরো অর্থনীতির হিসাব পাল্টে গেছে। এ জন্য তিনি চলতি বাজেটে নতুন করে কাজ করবেন।

এ প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী দীর্ঘমেয়াদে অর্থনীতির ঝুঁকি ও অপরাধ দুটোই বাড়াবে। কক্সবাজার ও পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন খাত ঝুঁকিতে পড়বে। স্বাস্থ্যসেবার ওপরও চাপ বাড়বে। যে পরিবেশে তারা থাকবেন, সেখানে পর্যাপ্ত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও অবকাঠামো সুবিধা না থাকায় স্বাস্থ্যসেবায় ঝুঁকি বাড়বে।

অসংখ্য রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকে পড়ায় কক্সবাজারসহ ওই এলাকার পর্যটন, অর্থনীতি ও পরিবেশ ভয়াবহ হুমকির মুখে পড়েছে। যার বিরূপ প্রভাব শুধু কক্সবাজার এলাকায় নয় বরং দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে পড়বে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন।

তার মতে, এসব শরণার্থী রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে পারলে সাময়িকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু ফেরত পাঠাতে না পারলে দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘায়িত হবে নেতিবাচক প্রভাব। কেননা রোহিঙ্গাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারলে তারা জীবিকার তাগিদে নানা ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বে।

এমনিতে কক্সবাজার এলাকায় আমাদের কাজের সুযোগ কম। এ ছাড়া পর্যটন এলাকা হিসেবে কক্সবাজার ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠলে পর্যটনের বৈশিষ্ট্য হারাবে কক্সবাজার। ফলে সেখান থেকে পর্যটকরা মুখ ফিরিয়ে নেবেন।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও ইন্সটিটিউট অব কনফ্লিক্ট, ল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বৃহস্পতিবার যুগান্তরকে বলেন, এত বিপুল বিপন্ন মানুষ যেখানেই থাকবে, সেখানেই বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় হবে।

সামাজিকভাবে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে, যেমন স্থানীয় শ্রমিকদের মজুরি কমে যাচ্ছে, যেহেতু চাহিদার তুলনায় শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, সেখানে একটি অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। আবদুর রশিদ বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বৈদেশিক সহায়তা এলেও বাংলাদেশের তহবিল থেকে বিপুল অর্থ খরচ হবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকারবঞ্চিত এ ধরনের জনগোষ্ঠীকে যে কোনো অশুভ মহল ব্যবহার করতে পারবে। এখানে জঙ্গিবাদের একটি ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে। এটি শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ঝুঁকিও তৈরি করতে পারে।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম ও পরিবহন ভাড়া। পর্যটন খাতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বনের ক্ষতি : কক্সবাজারে সাড়ে ৪ হাজার একর পাহাড়ি জমিতে রোহিঙ্গারা বসতি স্থাপন করেছে। যার মধ্যে সামাজিক ও প্রাকৃতিক বনভূমি রয়েছে। এসব জমির মধ্যে উখিয়া রেঞ্জেই আছে তিন হাজার একর। বাকি জমি রয়েছে টেকনাফ, পুটিবুনিয়া ও শিলখালী রেঞ্জে।

সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য ২ হাজার একর বনভূমি বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে। কক্সবাজারের বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পসহ পুরনো রোহিঙ্গারা আগের থেকেই দখলে নিয়েছে প্রায় ৬ হাজার একর। আর সম্প্রতি আসা নতুন রোহিঙ্গারা নিজেদের দখলে নিয়েছে সাড়ে ৪ হাজার একর। মোট সাড়ে ১০ হাজার একর বনভূমি এখন রোহিঙ্গাদের দখলে।

দৈনিক পুড়ছে ৫শ’ টন গাছ : উখিয়া, টেকনাফ, পুটিবুনিয়া ও শিলখালীতে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে ৬ লাখ রোহিঙ্গা। তাদের রান্নার প্রয়োজনে প্রতিদিন জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বনের গাছ।

কক্সবাজারের দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. আলী কবির বলেন, প্রতিদিন ৫ লাখ কেজি বা ৫০০ টন বনের গাছ জ্বালানি পুড়ছে। কক্সবাজার এলাকার পাহাড় ও বন নিয়ে গবেষণা করেন অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া।

সম্প্রতি তিনি বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বিকল্প জ্বালানির ব্যবস্থা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সবাইকে রান্না করে খেতে হচ্ছে। এক লাখ চুলা যদি থাকে, সেখানে এক লাখ চুলার জন্য প্রতিদিন ন্যূনতম পাঁচ কেজি জ্বালানি ব্যবহার হওয়ার কথা।

সে হিসাবে পাঁচ কেজি বা ৫০০ টন কাঠের প্রয়োজন হবে। এগুলো কোনো না কোনোভাবে বন থেকে যাচ্ছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে বনভূমির বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা আছে।

দেড়শ’ কোটি টাকার বনজসম্পদের ক্ষতি : শরণার্থীর কারণে এরই মধ্যে বনের দেড়শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে হিসাব প্রকাশ করেছে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সম্প্রতি কমিটির এক বৈঠকে বলা হয়, এখন পর্যন্ত ১৫০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার বনজসম্পদ ধ্বংস হয়েছে।

কমিটির সভাপতি হাছান মাহমুদ জানান, সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে মানবিক কারণে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণও যাচ্ছে। কিন্তু জ্বালানির কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তারা প্রাকৃতিক বন থেকে তা সংগ্রহ করছে। এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এর বাইরে পরিবেশের ক্ষতির হিসাব অনেক বেশি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তা সাইফুল আশরাফ যুগান্তরকে বলেন, এ অঞ্চলের পাহাড় ও বনের গাছপালার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। উচ্চ পাহাড়ের ওপরে কাটার কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এ এলাকায় যে কোনো মুহূর্তে ভূমিকম্পসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন তিনি।

বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম : উখিয়া ও টেকনাফে বাড়তি মানুষের চাপের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কুতুপালংয়ের স্থানীয় বাজার ঘুরে এ তথ্য জানিয়েছেন যুগান্তরের উখিয়া প্রতিনিধি সেলিম উল্লাহ।

তিনি জানিয়েছেন, উখিয়া ও টেকনাফে স্থানীয় বাসিন্দা প্রায় ৪ লাখ। পুরনো ও নতুন রোহিঙ্গা মিলে ১০ লাখের ওপরে। সব মিলিয়ে সেখানে এখন প্রায় ১৪ লাখ জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে। ফলে অতিরিক্ত খাদ্য চাহিদার কারণে বেড়েছে পণ্যের দামও।

সেখানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ও টমেটো ১৫০ টাকা, ছড়া, ঢেঁড়স, ৭০ টাকা, বেগুন, মুলা, করলা ৬০ টাকা কেজি, বরবটি ৪৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের মতে, সবজির দাম ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।

এক মাসের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী বলেন, সেনাবাহিনী এ অঞ্চলে কাজ শুরুর পর ব্যবসায়ীরা দাম কিছুটা কমিয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা সংস্থার (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক ড. এম কে মুজেরি যুগান্তরকে বলেন, বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করতে গৃহ নির্মাণসামগ্রীর বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে।

হঠাৎ চাহিদা বেড়ে মূল্যের ওপর প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি প্রকৃত ধারণক্ষমতা থেকে যাত্রী বেড়ে যাওয়ায় পরিবহন ভাড়াও বেড়েছে। তিনি বলেন, এর প্রভাব শেষ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে।

রোহিঙ্গাদের মাথাপিছু ব্যয় : রোহিঙ্গাদের পেছনে অর্থ ব্যয় নিয়ে ইতিমধ্যে একটি গবেষণা করেছে পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট (পিআরআই)। সংস্থাটির হিসাবে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১৬০২ মার্কিন ডলার। কিন্তু শরণার্থী রোহিঙ্গাদের আয়ের কোনো উৎস নেই। তাদের প্রত্যেকের পেছনে বছরে ব্যয় হবে এক হাজার মার্কিন ডলার।

ওই হিসাবে ৬ লাখ রোহিঙ্গার পেছনে বছরে ৬০ কোটি ডলার (৪,৮০০ কোটি টাকা) প্রয়োজন হবে। জানতে চাইলে পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সম্প্রতি বলেন, রোহিঙ্গাদের পেছনে বছরে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ওপরে। ন্যূনতম মাথাপিছু ব্যয় ধরে এ হিসাব করা হয়। এটি সাময়িক। ভবিষ্যতে তাদের পেছনে আরও ব্যয় বাড়বে।

জাতিসংঘ চাইবে ২৩ কোটি ডলার : রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় আগের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি অর্থ প্রয়োজন বলে মনে করছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ সহায়তা দিতে সংস্থাটি আগামী ছয় মাসের জন্য ৪৩ কোটি ডলার তহবিল চাইবে। আগামী ২৩ অক্টোবর জেনেভায় এ বিষয়ে দাতাদের কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানানো হবে।

জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় দফতরের প্রধান মার্ক লোকুক সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় দফতরের (ওসিএইচএ) প্রধান মার্ক লোকুক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় জাতিসংঘের সর্বশেষ পরিকল্পনা শিগগির প্রকাশ করা হবে।

পর্যটন বাণিজ্যে প্রভাব : টেকনাফ ও কক্সবাজার হচ্ছে পর্যটন অঞ্চল। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশি ও বিদেশি হাজার হাজার পর্যটক এ অঞ্চলে ভিড় জমান। এ খাতের আয়ের বড় একটি অংশ এ অঞ্চল থেকে আসছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের কারণে পর্যটন শিল্পে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইতিমধ্যে টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে পর্যটন খাতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত রোহিঙ্গার কারণে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হলে ওই জোনে (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার) বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা থাকবে। পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর একমাত্র পথ মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ইস্যুত দু’দেশের সম্পর্কে অবনতির জেরে এ সম্ভাবনাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও শরণার্থী সেলের প্রধান হাবিবুল কবির চৌধুরী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘অল্প সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সম্ভব না হলে কক্সবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় তাদের রাখা ঠিক হবে না। এতে কক্সবাজার সৌন্দর্যহীন ও পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গাদের কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের যে কী ক্ষতি হচ্ছে এটি আমরা এখান (ঢাকা) থেকে আন্দাজ করতে পারছি না। এ বিষয়ে খুব দ্রুত একটি সমীক্ষা চালানো প্রয়োজন। - যুগান্তর

এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে