সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭, ০৮:৩৭:৩০

‘সুষমা স্বরাজ কিন্তু সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, এমন কোনও আশাবাদ দেননি’

‘সুষমা স্বরাজ কিন্তু সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, এমন কোনও আশাবাদ দেননি’

নিউজ ডেস্ক : বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে–এটা জনগণের প্রত্যাশা। এটা আমাদেরও প্রত্যাশা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এ সময় বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্লিজ, নির্বাচন বয়কট করবেন না। জাতীয় ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা চাই সব দল নির্বাচনে আসুক। তারা নির্বাচনে আসবেন এটা জনগণেরও প্রত্যাশা, আমাদেরও প্রত্যাশা।’

সোমবার বিকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি আশাবাদী– দলটির মহাসচিবের এমন বক্তব্য কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (সুষমা স্বরাজ) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি আগামী নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে হওয়ার কথা বলেছেন। তাতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আশাবাদী হয়েছেন, আমরা তো আশাবাদী।’

তিনি বলেন, ‘আমরাও সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নিবার্চন করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই এ কথাটা বলে আসছেন। এখন বিএনপি কেন আশাবাদী? তারা কখনও আশাবাদী, আবার কখনও শ্রাবণের আকাশের কালো মেঘ তাদের মুখমণ্ডলে আসে।’

বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগ ২৫ সিট পাবে– মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা কি ২৫ সিট দেওয়ার মালিক? তাদের কি মনে নেই তারা যেবার আমাদের ৩০ সিট দেবে বলেছে, সেবার তারাই ৩০ সিট পেয়েছিল। ক্ষমতায় কে আসবে তা বাংলাদেশের জনগণই ঠিক করবে। আর কার ভাগ্যে কতটি সিট তা ঠিক করবেন আল্লাহ।’

বিএনপি সহায়ক সরকার নিয়ে বারবার ‘নাড়াচাড়া’ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সহায়ক সরকার নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার নয়। তারপরও (নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে) সেখানে আপনারা এ ইস্যু নিয়ে গেছেন। সুষমা স্বরাজ কিন্তু সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে– এমন কোনও আশাবাদ দেননি।’

তিনি বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি, এ প্রশ্ন করার পর তিনি (সুষমা স্বরাজ) বলেছেন, “আমাদের দেশে ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন তো এভাবেই হয়।” মানে হলো, যারা ক্ষমতাসীন, তারাই সহায়ক সরকারের দায়িত্ব পালন করে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সুষমা স্বরাজ রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, আশ্বাস দিয়েছেন তাতে আমরা আশাবাদী। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতেই হবে। তিনি কোনও দ্বিধা না করে কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালা বাস্তবায়নের বিষয়ে জোর অভিমত ব্যক্ত করেছেন।’

জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন কি কোনও নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে নির্বাহী ক্ষমতা দিয়েছিল? নিজে যা চর্চা করে না, সেটা অন্যকে কেন বলবে? আমরা সেনা মোতায়নের বিরুদ্ধে নই। আমাদের বক্তব্য হলো, প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন হবে আইন অনুযায়ী। নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী কোথাও সেনা মোতায়েন করতে চাইলে করতে পারে। আমরা বিরোধিতা করিনি।’

আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনের এক বছর পূর্তি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অভিযাত্রা শেষ হয়নি। তিন বছরের জন্য এ কমিটি নির্বাচিত। জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হতে হবে। এই কমিটির চূড়ান্ত সফলতা নির্ভর করবে আগামী নির্বাচনের ফলাফলে। ডেমোক্রেসি ইজ এ গেম অব নাম্বার। বিজয়ী হলে সফলতা প্রমাণ হবে।’  
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে