মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৭:২১:৩২

ঢাকায় পুলিশি হেফাজতে নিউইয়র্ক হমালাকারীর স্ত্রী ও শ্বশুর: 'স্তম্ভিত' সন্দ্বীপে তার চাচাতো ভাই

ঢাকায় পুলিশি হেফাজতে নিউইয়র্ক হমালাকারীর স্ত্রী ও শ্বশুর: 'স্তম্ভিত' সন্দ্বীপে তার চাচাতো ভাই

নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ততম বাস টার্মিনালে ''সন্ত্রাসী আক্রমণের চেষ্টা''র অভিযোগে পুলিশ যে বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করেছে, পুলিশ জানিয়েছে ঢাকায় তার স্ত্রী ও শ্বশুরকে আজ তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে।

সন্দেহভাজন ঐ হামলাকারীর নাম আকায়েদ উল্লাহ যার বয়স ২৭ বছর। ২০১১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান।

 পুলিশ জানিয়েছে আজ বিকেলে ঢাকার জিগাতলায় মনেশ্বর রোডের একটি বাসা থেকে আকায়েদ-এর স্ত্রী ও শ্বশুরকে তারা পুলিশের বিশেষ কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।

এবছর সেপ্টেম্বর মাসে আকায়েদ তার শিশুসন্তানকে দেখতে ঢাকায় এসেছিলেন এ তথ্য জানিয়ে পুলিশ বিবিসি বাংলাকে বলেছে সেসময় আকায়েদ কাদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করেছে বা কাদের সঙ্গে মিশেছে অথবা বাংলাদেশের অন্য কোন জঙ্গী সংগঠনের সঙ্গে তার কোনরকম যোগাযোগ আছে কীনা তা জানতে তারা আকায়েদের স্ত্রী ও শ্বশুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

তবে জিজ্ঞাসাবাদে তারা কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ তা এখনও জানায়নি। ২০১১ সালে বাবামায়ের সঙ্গে আমেরিকার নিউইয়র্কে চলে যাওয়া আকায়েদ বিয়ে করতে ২০১৬ সালে ঢাকায় যান। সেসময় থেকে তার স্ত্রী ঢাকাতেই বসবাস করছেন।

জুন মাসে ঢাকায় আকায়েদের এক সন্তান জন্মায়। ঐ সন্তানকে দেখতে আকায়েদ সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকায় গিয়েছিলেন এবং এক মাস বাংলাদেশে ছিলেন বলে পুলিশ জানাচ্ছে।

আকায়েদের নানার পরিবার বহুদিন থেকেই নিউইয়র্কের বাসিন্দা। সেই সুবাদেই নিউ ইয়র্কে বসবাসের জন্য আকায়েদের পরিবার সেখানে চলে যায় ২০১১ সালে।

আকায়েদের পূর্বপুরুষের বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায়। আকায়েদের চাচাতো ভাই এমদাদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন সন্দ্বীপের সঙ্গে আকায়েদের কোন যোগাযোগ ছিল না।

গতকাল টেলিভিশনে আকায়েদের ছবি দেখে এমদাদ তাকে তার চাচাতো ভাই হিসাবে চিনতে পারেন এবং নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে তার জড়িত থাকার খবর দেখে তিনি "স্তম্ভিত" হয়ে যান।

তিনি বলেন আকায়েদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ না থাকলেও সে যে এধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে তা তারা ভাবতেও পারেনি।-বিবিসি
এমটি নিউজ/আ শি/ এএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে