বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:৪৫:৩৯

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা

নিউজ ডেস্ক: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।

বৃহস্প‌তিবার সকাল ৭টার কিছু পরই বু‌দ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে হা‌জির হয়ে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি শহীদ বেদীর সামনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। এ সময় বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার দেয়।

এরপর সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা এবং বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের পথ বেয়ে দেশকে জ্ঞানভিত্তিক প্রজ্ঞাময় সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রপ‌তি শ্রদ্ধা জানানোর পর মন্ত্রিপ‌রিষ‌দের সদস্য ও সমা‌জের বি‌শিষ্ট ব্যক্তিরা শহীদ বু‌দ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

পরে বিভিন্ন দল, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও শহীদ পরিবারের সদস্য এবং সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করে।  এ সময় বিএনপি,  জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ ও বিভিন্ন শাখার পক্ষ থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার সামরিক সচিব। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মহান ত্যাগ স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেছেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা
এর আগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরে রায়েরবাজারের বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে মোমবাতি প্রজ্জলন ও ফানুস ওড়ানো হয়।

বুদ্ধিজীবী হত্যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সহায়তাকারী সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। পরে শ্রদ্ধা জানাতে আসে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জঙ্গিবাদ মুক্ত সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়েছে তারা।

১৯৭১ সালের এ দিনে পরাজয় নিশ্চিত জেনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস মিলিতভাবে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করাতেই বেছে বেছে এই হত্যাযজ্ঞ ঘটানো হয়।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে