মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ১২:৩৫:২৭

বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে বেইজিং-নয়া দিল্লি বিরোধ আরো গভীর হবে

বাংলাদেশের সিদ্ধান্তে বেইজিং-নয়া দিল্লি বিরোধ আরো গভীর হবে

নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারত ও চীন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) শেয়ার কেনা নিয়ে তাদের মধ্যে এক রকম যুদ্ধ চলছে। এটা হলো তাদের প্রভাব বিস্তার নিয়ে যে তীব্র দ্বন্দ্ব আছে, তার অংশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে সিদ্ধান্ত নেবে তাতেই বেইজিং ও নয়া দিল্লির মধ্যে বিরোধ আরো গভীর থেকে গভীর হবে। নিক্কি এশিয়ান রিভিউয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এর স্টাফ রাইটার ইয়ুজি কুরোনুমা লিখেছেন, বাংলাদেশের স্টক এক্সচেঞ্জ শতকরা ২৫ ভাগ শেয়ার বিক্রির জন্য চীনা প্রস্তাবকে নির্বাচিত করেছে।

তবে এ ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত পাকা হতে প্রয়োজন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত। কিন্তু দৃশ্যত কর্তৃপক্ষ ভারতীয় দরদাতাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করছে। আধুনিকায়ন করার উদ্দেশ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ তার শেয়ারের এক চতুর্থাংশ বিদেশীদের কাছে বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর সংখ্যা ১৮০ কোটি। এ সিদ্ধান্তের পর চীনের সাংহাই ও শেনঝেনের একটি কনসোর্টিয়াম প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রস্তাব করে ২২ টাকা। সব মিলে তারা যে দাম প্রস্তাব করেছে তার পরিমাণ ৯৯০ কোটি টাকা। উপরন্তু তারা প্রযুক্তিগত ৩ লাখ ৭০ হাজার ডলারের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। পক্ষান্তরে ভারতের ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক ও অন্যান্য অংশীদাররা প্রতিটি শেয়ারের দাম প্রস্তাব করে ১৫ টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আবুল হাশেমের মতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদ সর্বসম্মতভাবে চীনের দরকে বেছে নেয়। এখন ওই প্রস্তাবটি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমাণ। কিন্তু এক্ষেত্রে তদ্বির করতে ১১ই ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এসেছেন ভারতীয় এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিক্রম লিমায়ে। এখন চীন ও ভারতের এই প্রতিযোগিতার প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের অর্থ বাজারের ভবিষ্যতে।-এমজমিন
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে